আজিজুল ইসলাম : মহামারী করোনা ভাইরাসের বিস্তারে জীবনযাত্রায় নানাবিধ সমস্যার কারণে নারী সহিংসতা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। নারীদের মানসিক অবস্থারও অবনতি ঘটছে! এমতাবস্থায় জীবিকা ও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে নানাবিধ প্রকল্প গৃহীত হলেও, হয়নি নারী সহিংসতা প্রতিরোধী কোনো সুব্যবস্থা। উপেক্ষিত নারী সহিংসতার এই বৃদ্ধি, মানসিক অবস্থা ও অস্থির জীবনদশাকে ক্রমহ্রাসমান করতে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে “উইমেন লিডার্স” প্রকল্প।
যাদের লেখালেখিতে আগ্রহ রয়েছে, লেখালেখির মাধ্যমে শান্তি, সামাজিক সহিষ্ণুতায় ভূমিকা রাখতে চান – তাদের জন্য আমরা আয়োজন করেছি নারী বিষয়ক নিবন্ধ লেখা প্রতিযোগিতা। সেই লক্ষ্যে উইমেন লিডার্স কর্তৃক- গত ১৭ই এপ্রিল ২০২১ পিস অ্যাম্বাসিডর ও স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন জনাব সরকার সোহেল রানা, সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
সরকার সোহেল রানা বলেন, কোন একটি বিষয়ে চিন্তার আলোর পরিসর হচ্ছে নিবন্ধ। প্রবন্ধের আলোচনায় তিনি প্রবন্ধের ৩ টি বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছেন – ১. প্রকৃষ্টরূপে বন্ধন, ২. শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সুমীতি থাকবে, ৩. তথ্য ও যুক্তির সন্নিকট থাকবে। অর্থাৎ প্রবন্ধে ভূমিকাংশ, বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এছাড়াও তিনি-* নিবন্ধ কি, প্রবন্ধ ও নিবন্ধের মধ্যে পার্থক্য, * শিরোনাম ও উপশিরোনামের পার্থক্য, * রিপোর্ট, ফিচার, স্টোরি, নিবন্ধ লেখার ভাষা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তর ব্যাখ্যা করেছেন। বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন লেখকের লেখা সৃষ্টিকর্ম, সমসাময়িক লেখকদের নানা বিষয়ের উদাহরণ দিয়ে তিনি নিবন্ধের সাহিত্যিক মূল্য সম্পর্কে অসাধারণ আলোচনা করেছেন।
প্রকল্প পরিচালক জনাব মো. বাকীবিল্লাহ বলেন, সমাজে নিজেদের চিন্তা – চেতনা বিস্তৃত করার জন্য প্রকাশের একটি মাধ্যম লেখালেখি। এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে লেখালেখির প্রতি আগ্রহ আরো বাড়বে। উইমেন লিডার্স প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে- একটি ইন্টেলেকচুয়াল গ্রুপ তৈরি করা। সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে এ প্রকল্পটি।
সানন্দা পালের উপস্থাপনায়, প্রকল্প পরিচালক মো. বাকীবিল্লাহ-র সার্বিক তত্ত্বাবধানে, নিপা পাল, প্রবীণ ত্রিপুরা এবং কো- হোস্টদের সহযোগিতায় ভার্চুয়াল প্রোগ্রামটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, উইমেন লিডার্স প্রকল্পটি পরিচালনা করছেন জনাব মো. বাকীবিল্লাহ। তিনি বর্তমানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই প্রকল্পটি মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত ‘নেটওয়ার্ক ফর রিলিজিয়াল অ্যান্ড ট্র্যাডিশনাল পিসমেকার্স’ এর আওতায় আহা (অ্যাওয়ারনেস উইথ হিউম্যান অ্যাকশন) প্রজেক্টের একটি উদ্যোগ। যেখানে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্ত আছে ফিন চার্চ এইড, ওয়ার্ল্ড ফেইথ ডেভেলপমেন্ট ডায়ালগ, সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস: ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
Leave a Reply