আজিজুল ইসলাম: করোনা ভাইরাসের বিস্তারে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের অর্থনৈতিক খাতগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে। ঘরবন্দী হওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। এ ধরনের পরিস্থিতিতে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েই চলেছে। পৃথিবী যতই নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে দেশে কয়েক মাস লকডাউন জারি রাখুক না কেন, নারী ও কন্যা শিশুদের প্রতি সহিংসতায় কিন্তু কোনো লকডাউন হয়নি এবং এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে বাড়িকেই সর্বাধিক নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে গণ্য করা হলেও, অসংখ্য নারীর কাছেই গৃহ নিরাপদ আশ্রয় আদৌ হয়ে ওঠেনি। বরং মেয়েদের প্রতি সহিংসতা ও পারিবারিক সহিংসতা ও প্রতিরোধ করা যায়নি।অন্যদিকে নারীদের মানসিক অবস্থা দিন দিন অবনতি দিকে! এই অস্থিরতাকে কমাতে ঘরে বসে নানা কাজে যুক্ত হচ্ছে অনেকে। এ ধরনের মানসিক অবস্থা ও অস্থির জীবন দশা কমিয়ে আনতে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে “উইমেন লিডার্স” প্রকল্প।
যাদের লেখালেখিতে আগ্রহ রয়েছে, লেখালেখির মাধ্যমে শান্তি, সামাজিক সহিষ্ণুতায় ভূমিকা রাখতে চান – তাদের জন্য আয়োজন করছে”নিবন্ধ লেখা প্রতিযোগিতা”।
নিবন্ধের বিষয়বস্তু হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে
নারী ও জীবন, নারীর সাহসী গল্প, নারী নেতৃত্ব, করোনাকালীন নারীর ভূমিকা, করোনাকালীন নারীর অবস্থা, নারীর জীবন বদলানোর গল্প, নারীর স্বাস্থ্য, বিভিন্ন পেশায় নারীর অবস্থান, নারী শ্রমিক, বিশ্ব নারী দিবসসহ নারী সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয়।
এই প্রতিযোগিতায় যেসকল বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে-১.যেকেউ অংশগ্রহণ করতে পারবেন, ২.লেখার মাধ্যম: বাংলা ও ইংরেজি (উভয়ই), ৩.লেখার নিয়মাবলি:
উল্লেখ্য, উইমেন লিডার্স প্রকল্পটি পরিচালনা করছেন জনাব মো. বাকীবিল্লাহ। তিনি বর্তমানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই প্রকল্পটি মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত ‘নেটওয়ার্ক ফর রিলিজিয়াল অ্যান্ড ট্র্যাডিশনাল পিসমেকার্স’ এর আওতায় আহা (অ্যাওয়ারনেস উইথ হিউম্যান অ্যাকশন) প্রজেক্টের একটি উদ্যোগ। যেখানে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্ত আছে ফিন চার্চ এইড, ওয়ার্ল্ড ফেইথ ডেভেলপমেন্ট ডায়ালগ, সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস: ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
Leave a Reply