রংপুরের পীরগাছায় একটি মাদরাসায় নিরাপত্তা প্রহরী ও আয়া পদে নিয়োগ পরীক্ষার একদিন আগে প্রবেশপত্র দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাকার বিনিমনে নিকট আত্মীয়কে নিয়োগ দিতেই এ কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে মাদরাসাটির সুপার ও সভাপতি। এ ঘটনায় পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগীরা।
আজ মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় রংপুর জেলা শিক্ষা অফিসে এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার পশ্চিমদেবু দাখিল মাদরাসার সৃষ্ট নিরাপত্তা প্রহরী ও আয়া পদে নিয়োগের জন্য সম্প্রতি প্রত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তি দেখে সামিউল ইসলাম নিরাপত্তা প্রহরী ও শেফালী বেগম আয়া পদে আবেদন করেন।
পশ্চিমদেবু দাখিল মাদরাসার সুপার ও সভাপতি ইতিপূর্বে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে কৌশলে সামিউলের বাবার কাছে ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। তারা চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য আবারো সামিউলের বাবার নিকট ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। কিন্তু তিনি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এরই এক পর্যায়ে গত রবিবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রবেশপত্র দেওয়া হয়। অথচ নিয়োগ পরীক্ষা মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করা হয়। একদিন আগে প্রবেশপত্র পাওয়ায় কর্মের সন্ধানে ঢাকায় থাকা নিরাপত্তা প্রহরী পদে আবেদনকারী সামিউল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি।
এদিকে নিরাপত্তা প্রহরী পদে জসিম উদ্দিন ও আয়া পদে হালিমা বেগমকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আগেই চ‚ড়ান্ত করা হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সামিউলের বাবা অভিযোগকারী জহুরুল হক জানান, সভাপতি ও সুপার আমার ছেলেকে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে ৪ লাখ টাকা নিয়েছে। নতুন করে আরও টাকা চেয়েছিল। টাকা দিতে না পারায় আমার ছেলে ঢাকায় থাকার সুযোগ নিয়ে একদিন আগে প্রবেশপত্র দিয়েছে।
শেফালী বেগমের স্বামী আতাউর রহমান বলেন, সভাপতি তার ভাতিজা বউকে আয়া পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্যই আমার স্ত্রীকে একদিন আগে প্রবেশপত্র দেন।
পশ্চিমদেবু দাখিল মাদরাসার সুপার মুসলিম উদ্দিন বলেন, পরীক্ষার্থীদের কয়দিন আগে প্রবেশপত্র দিতে হবে তা আমার জানা নেই।
ওই মাদরাসার সভাপতি আবুল কালাম আজাদ খোকা টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, পরীক্ষায় যে প্রার্থী পাস করবে তাকেই নিয়োগ দেওয়া হবে।
রংপুর জেলা শিক্ষা অফিসার রুখসানা বেগম বলেন, এ ধরনের অভিযোগ প্রায়ই আসে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় কমিটি টাকা-পয়সা নিয়ে নিয়োগ দিলেও আমাদের কিছু করার থাকে না।
Leave a Reply