জাতিসংঘের এক ভোটে কঠিন ড্রাগের তালিকা থেকে বাধ হলো গাঁজার নাম। এখন থেকে এটি ওষুধ তৈরির গবেষণার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন গবেষকরা। নতুন এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতিসংঘের কঠিন মাদকের তালিকা থেকে বাদ পড়লো গাঁজার নাম।
সিএনএনের বরাতে জানা যায়, চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিকাশ ও গবেষণায় গাঁজার প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘ। ২০১৯ সালে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) এই বিষয়ে জাতিসংঘকে সিদ্ধান্ত নেয়ার আর্জি জানিয়েছিল।
গত বুধবার (২ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের নারকোটিক ড্রাগ কমিশনে এই বিষয়ক ভোটাভুটি হয়। গাঁজাকে কঠিন ড্রাগ হিসেবে চিহ্নিত করার পক্ষে ভোট দেয় ২৫টি রাষ্ট্র। বিপক্ষে ভোট দেয় ২৭টি রাষ্ট্র। আর ভোট দেয়া থেকে বিরত থেকেছে ১টি রাষ্ট্র। বিপক্ষের ভোট বেশি থাকায় গাঁজাকে কঠিন ড্রাগের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে জাতিসংঘ।
জানা যায়, জাতিসংঘের কঠিন ড্রাগের তালিকায় এতদিন চতুর্থ স্থানে রাখা হতো গাঁজাকে। এই তালিকায় হেরোইনসহ বিভিন্ন মারাত্মক মাদকদ্রব্যের নামও আছে। ২০১৯ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথম বিষয়টি নিয়ে দাবী তুলে। তাদের মতে, কঠিন ড্রাগসের তালিকায় গাঁজার নাম থাকায় চিকিৎসা বিজ্ঞানের নানান রকমের গবেষণায় সমস্যা হচ্ছিলো।মানব দেহের প্রয়োজনীয় অনেক ওষুধ প্রস্তুতিতে গাঁজার প্রয়োজন হয়।
এতদিন এর ব্যবহারে সমস্যা হচ্ছিল গবেষকদের। কিন্তু নতুন সিদ্ধান্তে তা আর হচ্ছে না। তবে কঠিন ড্রাগসের তালিকা থেকে গাঁজার নাম বাদ দেওয়াতে গাঁজা প্রেমিদের খুশি হওয়ার কারণ নেই।
কারণ গাঁজাকে এখনো মাদকের তালিকাতেই রাখা হয়েছে। এছাড়াও সাধারণের ব্যবহারের জন্য সমস্ত নিষেধাজ্ঞা আগের মতোই বহাল আছে। শুধু মাত্র ওষুধ তৈরির জন্য কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে।
সাধারণ মানুষ গাঁজা বা গাঁজা গাছের রস থেকে তৈরি চরস সেবন করলে নানান শারীরিক সমস্যা হতে পারে। গাঁজার অতিরিক্ত নেশা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইনে স্পষ্টই বলা আছে এসব তথ্য।
Leave a Reply