নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় নিহত সিএনজি চালক আলাউদ্দিনের ভাই বাদী হয়ে মামলাটি করেন। কাদের মির্জার কার্যালয় পৌরভবন ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও র্যাব। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কাদের মির্জা পৌরভবনে অবস্থান করছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, মামলায় কাদের মির্জাকে ১ নম্বর এবং তার ভাই সাহাদত হোসেন ও একমাত্র ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাশিকসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
পুরো এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিকেল ৪টায় রূপালী চত্বরে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে আ.লীগের একাংশ (কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপ)। এদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে থানার পশ্চিম পাশের সড়ক দিয়ে সভায় হামলার চেষ্টা চালায় কাদের মির্জার সমর্থকরা। এ সময় উভয় পক্ষের সমর্থকরা মুখোমুখি হলে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষকারীরা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি দোকানপাট ও অটোরিকশা। এ সংঘর্ষে আলাউদ্দিন নামে ওই যুবক নিহত হন।
এদিকে বৃহস্পতিবার কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে (৫০) পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
Leave a Reply