কালো টাকা সাদা করতে ২২ টন খাদ্য পণ্যের পরিবর্তে ১ টন পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের চেষ্টা করছিলো বাংলা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড। এ তথ্য জানতে পেরে দুই চালানের দুইটি কনটেইনার জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন ও রিসার্চ টিম (এআইআর) শাখা।
গত ২৩ ডিসেম্বর দুপুরে পতেঙ্গার বেসরকারি ইস্টার্ন লজিস্টিকস ডিপো থেকে এসব জব্দ করা হয়।
কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার মতিঝিলের ২৮/১/সি টয়েনবি সার্কুলার রোডের ঠিকানার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বাংলা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের ছোট কৃষ্ণদি মালয়েশিয়ায় ১ লাখ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের ফুড স্টাফের দুইটি পণ্যচালান রপ্তানির লক্ষ্যে চট্টগ্রামের বন্দর ৮১৭/১ গোসাইলডাঙ্গার জাফর ম্যানশনের ঠিকানার সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আর ইসলাম এজেন্সিকে মনোনয়ন দেয়। সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে গত ২১ ডিসেম্বর বিল অব এক্সপোর্ট (নম্বর-সি-১৭৭৬৮৮৮) এবং ১৮ ডিসেম্বর ( সি-১৭৬১৯৭৭) দাখিল করেন।
উত্তর পতেঙ্গার ইস্টার্ন লজিস্টিকস ডিপোতে দুইটি পণ্যচালানের বিপরীতে দুইটি ২০ ফুট কনটেইনারে পণ্য বোঝাই করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাহাজে তোলার ডাক আসার অপেক্ষায় ডিপোতে কনটেইনার দুইটি রাখা হয়। প্রতি কনটেইনারে প্রায় ১১ টন পণ্য থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে তা নেই মর্মে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনারের নিকট গোপন সংবাদ আসে।
পণ্য আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার (এআইআর শাখা) রেজাউল করিম বলেন, ডিপো কর্তৃপক্ষ ঘোষণা অনুযায়ী পণ্য বুঝে নিলেও কম পণ্য থাকার বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। এক্ষেত্রে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে কালো টাকা পাচার করে রপ্তানির নামে টাকা সাদা করার অপচেষ্টা করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তা ছাড়া রফতানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে খাদ্যসামগ্রী রপ্তানির ক্ষেত্রে নগদ প্রণোদনা দেয় বাংলাদেশ সরকার।
মানি লন্ডারিং, রপ্তানির আড়ালে কালো টাকা সাদা করা, অবৈধভাবে সরকারি প্রণোদনা নেয়ার অপচেষ্টাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাতকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করেছে এ চোরাচালান চক্র। এ ঘটনায় কাস্টমস আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে। দ্রুত অনুসন্ধান শুরু করবে কাস্টম হাউসের এন্টি মানিলন্ডারিং ইউনিট।’
Leave a Reply