1. iamparves@gmail.com : admin :
  2. hdtariful@gmail.com : Tariful Romun : Tariful Romun
  3. shohagkhan2806@gmail.com : Najmul Hasan : Najmul Hasan
  4. janathatv19@gmail.com : Shohag Khan : Shohag Khan
  5. ranaria666666@gmail.com : Sohel Rana : Sohel Rana
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৬ অপরাহ্ন

‘কোনো ব্যক্তিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য করা যাবে না’

অনলাইন ডেক্স
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২০

গতকাল থেকে দেশের মিডিয়ায় শুরু হয়েছে পোশাক বিতর্ক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে কর্মরত নারীদের হিজাব এবং পুরুষদের টাকনুর উপরে পোশাক পরিধান করার নির্দেশ প্রদান করেছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম। এরপর থেকেই সোশ্যাল সাইটে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। দ্রুতই আব্দুর রহিমকে শোকজ করে সরকার। এবং আজ বৃহস্পতিবার তিনি ক্ষমা চেয়ে তার সেই বিতর্কিত নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেন। বাংলাদেশে হাইকোর্টের রায়ে কোনো ব্যক্তিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য না করার কথা বলা আছে।

২০১০ সালের ৪ অক্টোবর সোমবার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আদেশ দেন যে, কোনো ব্যক্তিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য করা যাবে না। সেই রায়ে বলা আছে, ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের চার মূলনীতির অন্যতম হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা। এটি পঞ্চম সংশোধনীর রায়ের মাধ্যমে পুনঃস্থাপিত হয়েছে। কাজেই কোনো ব্যক্তিকে কোনোভাবেই ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য করা যাবে না। জোর করে কোন পোশাক পরানো মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। প্রত্যেক নাগরিকেরই স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন ও ধর্মীয় পোশাক পরিধানের অধিকার রয়েছে।

প্রসঙ্গত বাংলাদেশের সরকারি অফিস (সিভিল) এর কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য সরকার কোনো ড্রেস কোড চালু করেনি। তবে বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের গরমের সময়ে হাফ শার্ট পরে অফিস করা ও এসি না চালানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করার কথা সরকারের উচ্চ মহল থেকে বিভিন্ন সময়ে বলা হয়েছিল। সেই ২০১০ সালেরই ২২ আগস্ট হাইকোর্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ দেশের কোনো দপ্তরে নারীদের বোরকা পরতে বাধ্য না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে মেয়েদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত না রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়। 

বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট রোগ প্রতিরোধ বিষয়ে গবেষণা, প্রশিক্ষণ, প্রকাশনাসহ নানা বিষয়ে কাজ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি চিকেন পক্স, কলেরা, টাইফয়েড সহ নানা ধরণের রোগের ভ্যাকসিন উৎপাদন করে থাকে। একই সঙ্গে তারা বায়োলজিক্যাল রি-এজেন্ট উৎপাদন ও বায়লজিক্যাল প্রডাক্টগুলোর মান নিয়ন্ত্রণ সহ এসব কাজের ফোকাল প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করছে। পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম নিজের মতো করেই এই আদেশ দিয়েছিলেন। তিনি মন্ত্রণালয় থেকে কোনো অনুমতিও নেননি কিংবা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এমন কোনো নির্দেশনাও দেওয়া হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০০
  • ১২:২৯
  • ৪:৫৩
  • ৬:৪১
  • ৭:৫৫
  • ৬:১২