গ্রামীণ জনপদে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে, আছে পদও, কিন্তু ডাক্তার নেই। রোগী থাকলেও আবার সেবা নেই। এভাবেই চলছে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা। সহনাটি ইউনিয়নের চিকিৎসা সেবা ব্যহত হওয়ায় জনগণকে অসহায় করে তুলছে।
তথ্যমতে, প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র রয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জেলার সিভিল সার্জনের অধীনে এসব পরিচালিত হয়। এখানে শিশুসহ সকল জনগোষ্ঠীর মৃত্যুর হার ও রোগাক্রান্তের হার কমানো, গর্ভাবস্থা এবং প্রসবজনিত কারণে মাতৃ স্বাস্থ্য-এর ক্ষতি রোধের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচী পদক্ষেপ বাস্তবায়িত করা হয়।
কাঠামোগত ভাবে, সামাজিক পরিবেশ পরিস্থিতিতে অনেকটা উন্নতির ছোঁয়া লাগলেও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যেনো এখানে ভঙ্গুর।
সরকার ইউনিয়নে স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তুলেছেন জনসাধারণের সুবিধার্থে। কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবহেলা আর সচেতন মানুষের নীরবতায় অনেকটা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবাটুকু যেনো কোনমতে টেনে টুনে চলছে যা শনিবার আর মঙ্গলবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ । ফলে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ইউনিয়নের হাজার হাজার জনগণ। আরো একটি মাধ্যমে জানা যায়, বর্তমান চেয়ারম্যানের প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সংস্কারকাজ সম্পন্ন হলেই প্রতিনিয়ত ডাঃ বসবেন।তবে কখন এই প্রত্যাশিত আশা পূরণ হবে, প্রশ্ন ভুক্তভোগী মহলের।
‘সরকার প্রতিটি ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ১জন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদায়ন করেছেন। কিন্তু আমাদের এখানে মেডিকেল অফিসার নেই। যতদুর পারেন চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা। তবে ইউনিয়নের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে উপজেলা প্রশাসন যদি একটু নজর দেয় তাহলে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত হতে পারে।’
ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে শনি মঙ্গল বারে ডাক্তার বসলেও ওষুধ পাওয়া যায় না এমনটাই অভিযোগ। আর শুধু শনি মঙ্গল বারে ডাক্তার সীমাবদ্ধ না রেখে প্রতিদিন ডাক্তার বসার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দাবি জানায় এলাকাবাসী। এই মুহূর্তে যদি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ডাক্তার পাওয়া যেত তাহলে অন্তঃসত্ত্বা মহিলা কিংবা সাধারণ রোগীদের দূর্ভোগ হতোনা।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের উদ্যোগ নেন। সেই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে এ পর্যন্ত ১৪ হাজারেরও অধিক কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়।
Leave a Reply