রাজধানী ঢাকার একটি পাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতেন সৈয়দ বাহার উদ্দিন। পরিবার নিয়ে মিরপুরে একটা ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। সব কিছু ঠিকঠাক মতে চললেও হঠাৎ মহামারি করোনার কারণে চাকরি হারিয়ে তার জীবনে নেমে আসে কালো আঁধার। তার চাকরির উপার্জন দিয়ে গোটা পরিবার চলতো। উপায়ন্তর না পেয়ে স্ত্রী সান্তানদের নিয়ে গ্রামের বাড়ি আমিরাবাদ ইউনিয়নের আহম্মদপুরে ফিরে আসেন।
গ্রামে এসেও নিজ পৈত্রিক ভূমিতে ঠাঁই মেলেনি বাহারের। নিজ ভাই-ভাবি, ভাতিজারা তাকে ঘরে ডুকে না দিয়ে ঝামেলা করতে থাকে। বাধ্য হয়ে প্রতিবেশীর ঘরে উঠে হয় বাহার উদ্দিনকে। গত তিন মাস ধরে কখনো আত্মীয়ের বাসায়, কখনো পরিচিত জনের বাসায় আবার কখনো খোলা আকাশের নিচে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করতে হয়েছে।
নিজ ভাই-ভাবি, ভাতিজার জুলুম অত্যাচারে দিশেহারা হয়ে প্রতিকারের আশায় শুক্রবার (২৯জানুয়ারি) সকালে সোনাগাজী রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সৈয়দ বাহার উদ্দিন। সে সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের মরহুম শেখ বদিউল আলমের ছেলে।
এসময় তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে কখনো খোলা আকাশের নিচে কখনো প্রতিবেশীর বাড়ীতে মানবেতর জীবন যাপনের করুন পরিস্থিতি বর্ণনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যৌথ পরিবার থাকাকালে পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগবন্টনের আগে যৌথ খরচে পাকাঘর নির্মানের সিদ্ধান্ত হয়। ঘর নির্মানের জন্য পরিবারের কর্তা বড়ভাই শেখ কামাল উদ্দিনের হাতে তখন নগদ তিন লক্ষ সত্তর হাজার টাকা দিয়েছিলাম। আমি চাকুরীর কারণে স্ব-পরিবারে ঢাকা থাকতাম এবং ঢাকা থাকাকালীন আমার বড়ভাই শেখ কামাল উদ্দিন মারা যায়। করোনায় আমি চাকরি হারিয়ে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসলে তারা আমাকে ঘরে প্রবেশে বাধা দেয়। এখন আমাকে প্রতিবেশীর বাসায়, কখনো আত্মীয়ের বাসায় আবার কখনো খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছি।
গত শুক্রবার (২২জানুয়ারি) তারা ঘরের দ্বিতীয় তলা নির্মাণ কাজ শুরু করলে প্রাপ্যের অংশের কথা বললে তারা আমি ও আমার স্ত্রী সন্তানদের হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়। দীর্ঘদিন ঢাকায় থাকার সুযোগ নিয়ে ভাই-ভাবী ও ভাতিজারা ঝামেলা করে। স্থানীয় সন্ত্রাসী দিয়ে আমাকে একাধিক বার শারিরীক ভাবে আঘাত করার চেষ্টা করে।। এই বিষয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
সৈয়দ বাহার উদ্দিন বাসস্থানে ফিরে যেতে স্থায়ীয় এমপি, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানান।
Leave a Reply