বাজারে চালের দাম বাড়ছে হুহু করে। খোদ কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক স্বীকার করেছেন ৩২-৩৩ টাকার মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকায়। অবশ্য কেন এই মূল্যবৃদ্ধি তার কারণ জানেন না মন্ত্রী। রোববার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট (কেআইবি)-এ আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি বলেন, চালের দাম কেন এত বাড়বে, তা আমার কাছে বোধগম্য নয়। চলতি বছর দুই দফা বন্যার কারণে আউশ ও আমন ফলনের কিছু ক্ষতি হয়েছে। তবে উৎপাদনের যে পরিসংখ্যান সরকারের হাতে আছে, তাতে চালের এত ঘাটতি হওয়ার কথা নয়। অথচ আজকে সরকারের ঘরে চাল নেই। আমাদের চাল আমদানি করতে হচ্ছে।এদিকে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ তথ্য জানিয়েছেন। আজ রোববার এক অনলাইন সংবাদ সংম্মেলনে তিনি বলেন, কেবল বৈধ আমদানিকারকরা ১০ই জানুয়ারির মধ্যে মন্ত্রণালয়ে আমদানির আবেদন করবেন। সেখান থেকে মন্ত্রণালয় কাকে কী পরিমাণ আমদানি করতে দেবে সেই সিদ্ধান্ত জানাবে।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) গবেষণা বলছে, পরপর চার দফা বন্যায় এবার ধান উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাতে ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল কম উৎপাদন হতে পারে। কিন্তু তারপরও যে পরিমাণ চাল উৎপাদন হবে, তা দিয়ে আগামী জুন পর্যন্ত চাহিদা মিটিয়েও কমপক্ষে ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকার কথা। এখন আমনের ভরা মৌসুম চললেও ধান ও চাল-দুটোরই দাম গতবছরের তুলনায় বেশি।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ২৩শে ডিসেম্বরের যে তথ্য দেয়া আছে, তাতে সরকারি গুদামগুলোতে মোট ৭ দশমিক ৪৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে। এর মধ্যে চাল ৫ দশমিক ৪২ লাখ মেট্রিক টন এবং গম ২ দশমিক ৪ লাখ মেট্রিক টন। চালের মজুদের এই পরিমাণ গত বছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেক।
Leave a Reply