জাল টাকাসহ জনতার হাতে আটক ব্যক্তিকে থানায় এনে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভোলার লালমোহন থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সোমবার (২৩ জানুয়ারি) উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের গজারিয়া বাজারের একটি দোকান থেকে পান কিনে এক হাজার টাকার জাল নোট দেয় ভূট্টু নামে এক ব্যক্তি। পরে স্থানীয়রা ভুট্টুকে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সেলিম বেপারির কাছে নিয়ে গেলে তিনি রাতেই থানায় খবর দেন এবং তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
ভুট্টু পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের পাঙাশিয়া খালগোড়া এলাকার তহিলা মাঝির ছেলে।
নাম প্রকাশ না শর্তে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, লালমোহন থানার এসআই শক্তিপদ মৃধার নের্তৃত্বে রাতেই ভুট্টুকে নিয়ে তার বাড়ি তল্লাশি করে পুলিশ। এসময় ভুট্টুর স্ত্রী ও মেয়ের জামাতা পালিয়ে যায়। পরে ঘর তল্লাশি করে বেশ কিছু নগদ টাকা পায় পুলিশ, তবে সেগুলো জাল টাকা ছিলনা। তল্লাশি শেষে ভুট্টুকে থানায় এনে ওই দোকানীকে বাদি করে মামলা করা হয়। তবে পরদিন সকালে সেই ভুট্টুকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
স্থানীয়দের দাবি, ভুট্টুকে এর আগেও একাধিকবার জাল টাকা আটক করেছিল ব্যবসায়ীরা। এবার পুলিশের হাতে তুলে দিলেও ভুট্টুর কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
গজারিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সেলিম বেপারি জানান, কয়েকজন ব্যবসায়ী ভুট্টুকে জাল টাকাসহ আটক করে আমার কাছে নিয়ে আসে। পরে থানায় সংবাদ দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করি।
লালমোহন থানার এসআই শক্তিপদ মৃধা বলেন, ভুট্টুর কাছে এক হাজার টাকার একটি জাল নোট পাওয়া গেছে। তবে সে জাল টাকার ব্যবসায়ী নয় এবং আটকের ঘটনায় কেউ মামলা না করায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে জাল টাকাসহ ভুট্টুকে আটক ও ছাড়ার ঘটনা জানা নেই বলে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান।
এদিকে জাল টাকাসহ আটক ব্যক্তিকে থানায় এনে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় জনমনে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তারা বলছেন, ‘আইনের রক্ষকই যদি ভক্ষক হয়’, তবে আইন কোথায় নিরাপদ?
Leave a Reply