উত্তরপ্রদেশের পর এবার মধ্যপ্রদেশ। সারা দেশে যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ধর্ষণের ঘটনা। আর এবার অভিযোগের তির পাঁচ জন পুলিসকর্মীর দিকে। এক মহিলা অভিযোগ করেছেন, ১০ দিন ধরে থানায় আটকে রেখে তাঁকে গণধর্ষণ করেছেন পাঁচ জন পুলিসকর্মী। মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলার মঙ্গাওন থানার ঘটনা। এই ঘটনায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মধ্যপ্রদেশে। পুলিসকর্মীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে পড়েছে শিবরাজ সিং চৌহানের সরকার। কয়েকদিন বাদেই মধ্যপ্রদেশের ২৮ টি আসনে উপনির্বাচন। তার আগে থানার ভেতর গণধর্ষণের ঘটনা শিবরাজ সিং চৌহানের সরকারকে বেশ চাপে ফেলেছে।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে সরব হয়েছে কংগ্রেস। বিজেপি শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশের এমন ঘটনা সমালোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। এমনিতেই হাথরাস, বলরামপুর বুলন্দশহরের একের পর এক ধর্ষণের ঘটনার জেরে অস্বস্তিতে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন। এর মধ্যে আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশে এমন নক্কারজনক ঘটনা ঘটল। জেলা আদালতের বিচারক বন্দি মহিলার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছেন। সেই মহিলা আরো জানান, তিনি ওয়ার্ডেনকে আগেই ধর্ষণের কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু ওয়ার্ডের সেসব শোনার পরও চুপচাপ ছিলেন। তবে বিচারক এদিন এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরই ওয়ার্ডেন সরব হন। তিনি স্বীকার করে নেন, ওই মহিলা তাঁকে কিছুদিন আগে সত্যিই ধর্ষণের ঘটনা জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন– ‘বিজেপি দেশকে ধ্বংসের পথে টেনে নিয়ে চলেছে’, সোনিয়া গান্ধী
জানা গিয়েছে, খুনের অভিযোগে থানায় আটক ছিলেন ওই মহিলা। তিনিও একটা সময় পুলিসের কনস্টেবল হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। সেই মহিলার দাবি, পুলিস তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হাজতে আটকে রেখেছিল। তারপর টানা দশ দিন ধরে পাঁচজন পুলিসকর্মী হাজতে তাঁকে ধর্ষণ করে। জেলে আটকে রাখায় তিনি কাউকে কিছু জানাতে পারেননি। ফলে বাধ্য হয়ে ওয়ার্ডেনকে এসব কথা জানান। ওই মহিলার দাবি ৯ থেকে ২১ মে পর্যন্ত পাঁচজন পুলিসকর্মী তাঁকে লাগাতার ধর্ষণ করেছিলেন। তারপর থানার সবাই মিলে ওই ঘটনা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও পুলিস জানিয়েছে, মহিলার সব দাবি মিথ্যে। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য এখন মিথ্যা মামলা সাজাচ্ছেন ওই মহিলা। ইতিমধ্যে বিচারক এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
Leave a Reply