বিশেষ প্রতিবেদক: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন আহমেদ। একটি নাম, একটি সংগ্রাম এবং একটি ইতিহাস। পূর্ণ আলোয় উদ্ভাসিত, আলোকিত মহাপ্রাণ। আপাদমস্তক ক্যারিশম্যাটিক মানুষ। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর এ কর্মকর্তা ময়মনসিংহের চিকিৎসা সেবায় যুগান্তকারী এক পরিবর্তন এনেছেন।
ঘাম-শ্রম, মেধা, শক্তি-সামর্থ্যরে অপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়ে গরিব ও সাধারণ মানুষের পরম ভরসার স্থলে পরিণত করেছেন পাহাড়সম সমস্যা, অনিয়ম আর সঙ্কটে এক সময়কার ডুবন্ত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে।
বিরল মহানুভব এ মানুষটি হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মানে যেমন ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছেন তেমনি নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডের মধ্যে দিয়েও হাসপাতালটির সার্বিক পরিবেশও পাল্টে দিয়েছেন। এ কারণেই ময়মনসিংহবাসী তাঁর নামের শেষে যুক্ত করেছে ‘চেঞ্জ মেকার’ উপমা।
সততা, দক্ষতা ও আন্তরিকতায় গত আড়াই বছরে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন আহমেদ এ হাসপাতালটিতে একটি ‘টিমওয়ার্ক’ গড়ে তুলেছেন। স্বার্থান্বেষী গুটিকয়েক চিকিৎস ছাড়া সবার সহযোগিতা পেয়েছেন। অকুন্ঠ সমর্থন পেয়েছেন ময়মনসিংহবাসীর।
তাঁর নির্লোভ, নিরহঙ্কারী ও দক্ষ নেতৃত্বের গুণে ঘুম ভাঙিয়েছেন হাসপাতালটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও। দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও দুর্নীতির মহোৎসবের বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে হাসপাতালটির ওষুধ পাচার ঠেকিয়েছেন। রোগীদের শতভাগ ওষুধ সুবিধা নিশ্চিত করেছেন।
অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে নামমাত্র খরচায় উপহার দিয়েছেন সব ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। রাত-দিন ২৪ ঘন্টা ওয়ান স্টপ সার্ভিস সুবিধার সুফল ভোগ করছে সবাই। হাসপাতালের অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা বিশেষণে বিশেষায়িত এসব শব্দমালাকেও হিমাগারে পাঠিয়েছেন। দালালদের হাসপাতাল ছাড়া করেছেন।
আমুল পরিবর্তনের এ দৃশ্যপট, উন্নয়নের চালচিত্র যখন সাফল্যের মুকুট পরিয়েছে বর্ষীয়াণ এ সেনা কর্মকর্তার মাথায় ঠিক তখনই লুটেপুটে খেতে অস্থির চক্রটি নতুন কৌশলে দৃশ্যপটে আবির্ভূত হচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য একটিই বিরল মহানুভব এ হাসপাতাল পরিচালককে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া।
হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারী এমনকি ময়মনসিংহবাসীর কাছে ‘সুচিকিৎসা সেবার’ অন্তরায় হয়ে দাঁড়ানো অনৈতিক সুবিধা না পাওয়া এ মহল বিশেষকে ‘ষড়যন্ত্রকারী’ হিসেবেই সনাক্ত করেছে ময়মনসিংহের সচেতন নাগরিক সমাজ।
প্রচার-প্রপাগান্ডায় নির্লোভ এ মানুষটির গায়ে তাঁরা জুড়ে দিতে চাচ্ছেন দুর্নীতিবাজের ‘কলঙ্ক তিলক’। অবশ্য ইতোমধ্যেই তাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে সতর্ক করেছেন হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন আহমেদ।
নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন- ‘আমাকে দুর্নীতিবাজ, কোটি, কোটি টাকা আত্নসাতকারী হিসেবে যদি কেউ প্রমাণ করতে পারেন তাহলে আমি আমার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। কিন্তু খুব অল্পদিনের মধ্যেই সব প্রমাণসহ কারা দুর্নীতিবাজ ইনশাল্লাহ প্রমাণ জনগনের কাছে পৌঁছে যাবে।’
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া হাসপাতাল পরিচালকের এ স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হয়েছে। এ স্ট্যাটাসে মন্তব্য করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক পরিচালক ও নগরীর আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যাপক আফজালুর রহমান লিখেছেন- ‘কোন গোষ্ঠীর স্বার্থে এই মিথ্যে প্রতিবেদন সেটি সুশীল সমাজ জানে। মচিমহাকে স্বাস্থ্য ব্যবসায়ীদের হাতে ফিরিয়ে নিতে কত রকম কসরত আমরা দেখবো।
বৃহত্তর ময়মনসিংহের এই বৃহত্তম চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রটি রক্ষা করতে পথে নামবে লক্ষ জনতা। একজন পরিচালককে নানা রকম বিনিয়োগ করে সড়িয়ে দেয়া যাবে কিন্তু লক্ষ জনতার ক্ষোভ প্রশমিত করার কোন ফন্দি নেই। যখন মচিমহা দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে মডেল হয়ে ওঠছে তখন অমন রঙিন আক্রমন? আমরা তো জানি প্রতিষ্ঠানটিকে জনস্বার্থে শতভাগ ব্যবহার করার সুযোগ যিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর ভাবমুর্তি বিনষ্ট করার এসব পায়তারা সফলতার মুখ দেখবেনা।’
এ স্ট্যাটাসটির ঠিক আগে হাসপাতাল নিয়ে ওই মহল বিশেষের আরেকটি ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র ফাঁস করেছেন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন আহমেদ নিজেই। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগীদের বিনামূল্যে শতভাগ ওষুধ সুবিধা দেশের সবক’টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মধ্যেই একটি মডেল। কিন্তু এতেই গাত্রদাহ হওয়া চক্রটি নতুন মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। হাসপাতাল পরিচালক সরকারি বিনামূল্যের ওষুধ বিভিন্ন ওয়ার্ডের ডাস্টবিনে ফেলে রাখার চিত্রটি নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করে লিখেছেন- ‘নুতন ষড়যন্ত্র। ইদানীং হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ডাস্টবিন এ দামি দামি মেয়াদ সম্পন্ন ঔষধ,ইনজেকশান, সেলাইন ফেলে দেয়া হচ্ছে। কারা কি উদ্দেশ্য নিয়ে এ কাজটা করছে তা বুঝতে পারছি না। সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।’এ পোস্টে দেশের ২৪ ঘন্টার নিউজচ্যানেল যমুনা টেলিভিশনের ময়মনসিংহের ক্যামেরা পার্সন দেলোয়ার হোসেন মন্তব্য লিখেছেন এমন- ‘স্যার নতুন কোন চক্রান্ত ষড়যন্ত্রকারীরা শুরু করেছে। কারণ যে পরিমান ঔষধ, ইনজেকশান, সেলাইন ময়মনসিংহ হাসপাতালে রোগীকে দেওয়া হয়, আমার মনে হয় বাংলাদেশের আর কোন হাসপাতালে এত পরিমান ঔষধ দেওয়া হয় না। ময়মনসিংহের হাসপাতাল থেকে আগে কোটি কোটি টাকর ঔষধ উধাও হয়ে যেত। স্যার কোটি কোটি টাকার ঔষধ ষড়যন্ত্রকারীদের চোখের সামনে রোগীদের দিয়ে দিচ্ছেন মাথাত ষড়যন্ত্রকারীদের নষ্ট হবেই।’
Leave a Reply