ভালুকা প্রতিনিধিঃ
নিজের সম্পত্তি থাকতেও ঘুরে বেড়াচ্ছেন মানুষের দোয়ারে দোয়ারে সেই সম্পত্তি বুঝে পাওয়ার জন্য। বসবাস করতে হচ্ছে অন্যের ভীটায় ভিখারীর মত। আজ প্রায় ৪০ বছর ধরে ত্রিশাল উপজেলার মোক্ষপুর ইউনিয়নের কোনাবাখাইল গ্রামের মৃত আজগর আলী মাস্টারের স্ত্রী মোছাঃ রহিমা খাতুন এমন অসহায় অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশের সুমির করম কার সাথে মূলে ভূমি রহিমা খাতুনের স্বামী আজগর আলী মাস্টার প্রাপ্ত হয়ে দখলে বিদ্যমান থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। তাছাড়াও এস.এ. ৯নং খতিয়ানে আজগর আলী মাস্টারের নাম প্রকাশিত হইয়া প্রচারিত থাকার পাশা-পাশি আজগর আলী মাস্টার দখলে বিদ্যমান থাকে। একই এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী মৃত সিদ্দিক মুন্সির ছেলে আঃ রাজ্জাক ও আবুল মুনসুর তছরুপ করিয়া আসিতেছে। বিভিন্ন ভাবে সর্বকাজে বাধা প্রতিবন্ধকতা করতঃ নিজেরাই তছরূপ মূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে বেদখল করে নেওয়ার পায়তারা করে আসছিল।
ভোক্তভোগী মোছাঃ রহিমা খাতুন জানান, আমার স্বামীর ৫ একর ৯৮ শতাংশ জমি বেদখল দিলে আমার ছেলে হুমায়ুন কবীর বাদি হয়ে আদালতে মামলা করি এবং দীর্ঘ শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত আমাদের পক্ষে রায় ও ডিগ্রী দেয়। তারপরও এরূপ কর্মকান্ড করতে থাকিলে মোক্ষপুর ইউনিয়ন পরিষদ বরাবর অভিযোগ করা হয়। যার প্রেক্ষিতে বিবাদীদ্বয়ের প্রতি স্থানীয় চেয়ারম্যান একাধিক নোটিশ করা স্বত্ত্বেও বিবাদীরা জমির কোন কাগজ পত্রাদী উপস্থাপন মতে ইউনিয়ন পরিষদে হাজির না হইয়া এরূপ কর্মকান্ড অব্যাহত পূর্বক বিবাদীরা গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি সকালে জমিতে কাজ করিতে যাইতে বাধা দেয়। এমনকি ভবিষ্যতে আমি বা আমার পরিবারের লোকজন ওই জমিতে গেলে জান মালের ক্ষতি সহ যে কোন সময় জমি বেদখল করে নিবে বলে জানায়।এ বিষয়ে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply