1. iamparves@gmail.com : admin :
  2. hdtariful@gmail.com : Tariful Romun : Tariful Romun
  3. shohagkhan2806@gmail.com : Najmul Hasan : Najmul Hasan
  4. janathatv19@gmail.com : Shohag Khan : Shohag Khan
  5. ranaria666666@gmail.com : Sohel Rana : Sohel Rana
রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন

পৃথিবীর যেসব দেশে নিষিদ্ধ ‘ইসকন’

অনলাইন ডেক্স
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

ইসকন (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস) বা আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের যাত্রা শুরু হয় ৫৮ বছর পূর্বে। বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় শতাধিক দেশে ইসকনের অস্তিত্ব রয়েছে। তবে, কিছু দেশে সংগঠনটি নিষিদ্ধ।
ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে ১৯৬৬ সালের ১৩ জুলাই এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়। ইসকন মূলত বৈষ্ণব ধর্মের একটি অংশ ও ভগবান কৃষ্ণকে কেন্দ্র করে তাদের ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক কার্যক্রম চালিত হয়।

ভক্তিযোগ বা কৃষ্ণভাবনামৃত সংস্কৃতি হাজার বছরের ধরে শুধুমাত্র ভারতবর্ষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে, সময়ের ব্যবধানে পৃথিবীর বহু দেশে সম্প্রসারণ ঘটেছে সংগঠনটির।

ইসকনের কর্মসূচি: ইসকনের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে মন্দির নির্মাণ, ধর্মীয় উপদেশ দেওয়া, শ্রীমদ্ভগবদগীতা প্রচার, ভক্তি কার্যক্রম ও দাতব্য সংস্থা পরিচালনা।

মন্দির রক্ষণাবেক্ষণ ও আধ্যাত্মিক অনুশীলনও করে থাকে ইসকন। সংস্কৃতি চর্চার অংশ হিসেবে যোগব্যায়াম ও জীবনযাত্রার উপর শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান করে থাকে সংগঠনটি। অভাবীদের বিনামূল্যে নিরামিষ খাদ্যও বিতরণ করে থাকে ইসকন।

যেসব দেশে নিষিদ্ধ: সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে ১৯৭০ ও ১৯৮০’-এর দশকে ইসকনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ইসকন রাশিয়া ও অন্যান্য প্রাক্তন সোভিয়েত রাজ্যে কাজ করতে সক্ষম হয়।

চীনে ইসকনের কার্যক্রমের অনুমতি নেই। ইসকনসহ বিদেশি ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলিকে প্রকাশ্যে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয় না দেশটিতে।

মালয়েশিয়ায়ও নিষিদ্ধ ইসকন। দেশটিতে ইসকনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ধর্মান্তরকরণের অভিযোগ আছে। শিয়াশাসিত ইরানে ইসকনের ক্রিয়াকলাপের অনুমতি নেই। এ ছাড়া সৌদি আরব ও আফগানিস্তানে ইসকনের কর্মকাণ্ডের অনুমতি নেই।

কিছু দেশে আংশিক নিষিদ্ধ: ইন্দোনেশিয়ায় আংশিক নিষিদ্ধ ইসকন। কিছু শর্ত মেনে দেশটিতে কার্যক্রম চালাতে পারে সংগঠনটি।

এ ছাড়াও তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান ও তুর্কমেনিস্তানে ইসকনের কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারি জারি রয়েছে।

যেসব দেশে সক্রিয় ইসকন: ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রাজিল, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া, তাঞ্জানিয়া, উগান্ডা, অস্ট্রেলিয়া, দুবাই ও ইসরাইলে ব্যাপক সক্রিয় ইসকন।

এ ছাড়াও মেক্সিকো, কানাডা, জাপান, থাইল্যান্ড, মরিশাস, ফিজি, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়ায় ইসকনের কর্মসূচি রয়েছে।

বাংলাদেশে ইসকনের অস্তিত্ব: বাংলাদেশে বর্তমানে ব্যাপকভাবে সক্রিয় ইসকন। দেশব্যাপী বেশ কয়েকটি মন্দির চালাচ্ছে তারা। সত্তরের দশকের শুরুতে এ দেশে সংঘটির কার্যক্রম শুরু হয়। রাজধানী ঢাকার স্বামীবাগ মন্দির, যা বর্তমানে ইসকনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এটি সংগঠনটির প্রথম কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম।

ইসকনের বাংলাদেশ শাখা তাদের বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক কার্যক্রম চালায় যেমন ধর্মপ্রচার, মন্দির পরিচালনা ও বার্ষিক রথযাত্রা উৎসবের আয়োজন। স্বামীবাগ মন্দিরে ভক্তরা নিয়মিত কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করেন ও ভগবানের সেবা করে থাকেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:৪০
  • ১২:২৩
  • ৪:০৫
  • ৫:৪৪
  • ৭:০৩
  • ৬:৫৭