ইবি প্রতিনিধি : গায়ে ঝোল পড়াকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে(ইবি) সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৭ মে) জুমা’র নামাজের শেষে প্রথম দিকে খাবারের দোকানে এবং দ্বিতীয় দফায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড়ে ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল সংলগ্ন খাবারের দোকানটিকে দুপুরের খাবার খেতে বসেন সাদ্দাম হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মারুফ হোসেন জারিফ এবং জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের জুবায়ের হোসেন রনি, সিয়াম আহমেদ সিফাতসহ কয়েকজন। এসময় সিয়াম তরকারি নেয়ার সময় জারিফের শরীরে ঝুল পড়লে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। তা দেখে রনি এগিয়ে এলে জারিফের সাথে তার নতুন করে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এসময় তারা একেে অপরকে হুমকি দিতে থাকে যা পরবর্তীতে জিয়া মোড়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
এসময় মারামারিতে দেখা যায়, ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত কর্মী তাসিন আজাদ, ছাত্রলীগের সহসভাপতি শিমুল খান, রনি, জারিফ ছাড়াও বঙ্গবন্ধু ও সাদ্দাম হোসেন হলের নেতাকর্মীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জুবায়ের হোসেন রনি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রতন রায়ের অনুসারী অপরদিকে মারুফ হোসেন জারিফ আরেক সহসভাপতি শিমুল খানের অনুসারী।
এ বিষয়ে মারুফ হোসেন জারিফ বলেন, নামাজ পড়ে যখন খাইতে বসলাম তখন পাশে এক ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল ও যখন খাবার নিচ্ছিলো তখন আমার গায়ে একটু ঝোল পড়ে। তখন আমি তাকে বলি সিনিয়রদের গায়ে ঝোল পড়লে একটু সরি টরি বলতে হয় জানো না। তখন সে আমাকে সরি বলে। কিন্তু তখনই তার পাশে থাকা রনি আমাকে এসে বলে কি ব্যাপার ভাই আপনি এভাবে ব্যবহার করছেন কেনো? কথা কাটাকটির এক পর্যায়ে সে মারার জন্য উদ্যত হয় তখন সিনিয়র হিসেবে আমি বাসন নিয়ে তার দিকে এগিয়ে যায়। তখনও মা বাবা নিয়ে গালি দেয়। তারপর দোকান থেকে চলে এসে শিমুল ভাইকে বিষয়টা জানাই। ঐদিক থেকে জিয়ামোড়ে দাঁড়িয়ে রনি বলে, ‘আসো, সামনে আসো, দেখি কী করতে পারিস!’ তখন কিন্তু শিমুল ভাইও ছিল। তখন শিমুল ভাইয়ের সামনে আইসা বলতেছিল (রনি), ভাই , কুষ্টিয়া যাওয়া লাগবে না??। এরপর ভাইয়েরা বিষয়টা সমাধান করে দেন।
শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শিমুল খান বলেন, জুনিয়ররা তখন সিনিয়রদের হয়তো চিনতে পারেনাই তাই একটু ঝামেলা হয়েছিলো। পরে আমরা বিপুল ভাইয়ের উপস্থিতিতে বিষয়গুলো সমাধান করেছি।
শাখা ছাত্রলীগের আরেক সহসভাপতি রতন রায় বলেন, গায়ে ঝোল পড়া নিয়ে জুনিয়র-সিনিয়রদের মধ্যে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। এটা তেমন বড় বিষয় না। আমরা পরে জুনিয়রদের সিনিয়রদের সাথে কথা বলিয়ে দিয়েছি।
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর প্রভাষক মোঃ ইয়ামিন মাসুম বলেন, ক্যাম্পাসে অনেক জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে যা আমাদের নজরে পড়ে না। আপনাদের নজরে যেহেতু পড়েছে। সুতরাং দু’পক্ষের কোনো এক পক্ষ অভিযোগ পত্র দায়ের করলে প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নিতে পারে। ঘটনা যেহেতু আজকে বন্ধের দিনে, অফিস টাইমে হয়তো অভিযোগ পত্র জমা দেওয়ার এখনও সুযোগ আছে। তারপরও অফিস টাইমে প্রক্টরের সাথে আলাপ করে দেখতে পারি।
Leave a Reply