গুরুদাসপুর(নাটোর) প্রতিনিধিঃসচিবালয়ে যাঁরা রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা করেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গোপন নথি চুরির যে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, তা অবিলম্বে প্রত্যাহার ও তাঁর মুক্তির দাবি জানিয়ে মানবন্ধন কর্মসুচি পালন করেছেন গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা । আজ বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টার দিকে গুরুদাসপুর থানার মোড়ে ওই কর্মসুচি পালন করা হয়।
ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া ও রোজিনা ইসলামের মুক্তি দাবি জানিয়ে ওই কর্মসুচিতে বক্তব্য রাখেন জেষ্ঠ্য সাংবাদিক অধ্যাপক আত্হার হোসেন আবুল কালাম আজাদ যুগান্তরের দিল মোহাম্মদ কালেরকণ্ঠের এমএম আলী আক্কাস ভোরের কাগজের প্রভাষক মো. মাজেম আলী প্রথমআলোর আনিসুর রহমান,ইত্তেফাকের রাশিদুল ইসলাম, মোহনা টেলিভিশনের মো. মিজানুর রহমান যায়যায়দিনের মো. নাজমুল হাসান, মানবকণ্ঠের মো. জালাল উদ্দিন আমাদের সময়ের আখলাকুজ্জামান, নতুন সময়ের মো. আবুহেনা মোস্তফা কামাল আমার সংবাদের আব্দুস সালাম ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক এমদাদুল হক মোল্লা স্থানীয় দৈনিক নাটোরকণ্ঠের বার্তাসম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম ও বড়াইগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি ও যুগান্তর প্রতিনিধি মো. অহিদুল হক প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, ‘সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে দ্রুত মুক্তি দেওয়া না হলে আমরা রাজপথে নামব এবং দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। একই সাথে রোজিনাকে আটকে রেখে শারীরিক মানসিক নির্যাতনের ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান বক্তরা।
উল্লেখ্য,- প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনে গত সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে তাঁকে সেখানে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে শাহবাগ থানায় এনে তাঁর বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস আইনে মামলা করা হয়। ওই মামলায় এখন কারাগারে আছেন রোজিনা ইসলাম।
অপর দিকে একই দাবিতে বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে বেলা ১১টার দিকে উপজেলার লক্ষীকোল বাজারে একই ধরনের কর্মসুচি পালন করা হয়। প্রেসক্লাব সভাপতি মো. ওহিদুল হক ওই কর্মসুচিতে নেতৃত্বদেন।
Leave a Reply