রপ্তানি রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার পরও চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সময়ে ২০৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। দেশীয় মুদ্রায় ঘাটতির এ পরিমাণ ১৭ হাজার ১২৮ কোটি টাকা। তবে ঘাটতির এ অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৮০ কোটি ডলার কম। গত বছরের একই সময়ে এই ঘাটতি ছিল ৩৮৪ কোটি ডলার। গতকাল মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ের বৈদেশিক লেনদেনে চলতি হিসাবে ভারসাম্য (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট) প্রতিবেদনে এসব তথ্যে পাওয়া গেছে।
ব্যালেন্স অব পেমেন্টের তথ্য বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকাসহ (ইপিজেড) রপ্তানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ৯৬৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় করেছে এক হাজার ১৭৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার। সেই হিসেবে অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২০৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আলোচ্য সময়ে পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশের আয় আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেশি হয়েছে। বিপরীতে পণ্য আমদানির ব্যয় আগের বছরের চেয়ে ১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ কমে গেছে।
দেশের অভ্যন্তরে বিনিয়োগের চাহিদা কম থাকায় আমদানিজনিত চাহিদাও কম ছিল। তাই আমদানি ব্যয় অত বাড়েনি। তবে দেশের প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ চাঙা থাকায় বাণিজ্য ঘাটতি কমে গেছে। প্রথম প্রান্তিকে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। সেবাখাতের বাণিজ্য ঘাটতিও কমেছে। গত অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে এ খাতের ঘাটতি ছিল ৮৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার। চলতি বছরে তা কমে ৫৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারে নেমে এসেছে।
মূলত বীমা, ভ্রমণ ইত্যাদি খাতের আয়-ব্যয় হিসাব করে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি পরিমাপ করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য আরও বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ৫৪ কোটি ডলারের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বাংলাদেশে এসেছে। গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ৭১ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এ হিসেবে তিন মাসে এফডিআই কমেছে ২৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
Leave a Reply