বান্দরবানে রাতের আধারে পাহাড়ের চূড়ায় তুলে ৩ জন যুবক মিলে এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ।
ঘটনার সত্যতা সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে ধর্ষণকারীর পরিবার জানাই ১৭ ই আগস্ট রাত ৮ থেকে ৯ টার মধ্যে বান্দরবান ৯ নম্বর ওয়ার্ড মোহাম্মদপুর হাজীপাড়ার মীর আহমদের ছেলে মোহাম্মদ রফিক ( ২৫) , মৃত হেলাল মিয়ার ছেলে মোঃ জিহাদ (১৮) মোঃ জয়নাল (৩০) । তারা রাতের বেলা হাজীপাড়া সৈয়দ আকবর ( ৬৫) হাসিনা বেগম (৫০) মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস মিম (২০) কে চোখ বন্ধ করে হাত বেধে পাহাড়ের চূড়ায় তুলে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে । পরে জিনিসটি কাউকে বললে দর্শনকারী কে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
পরবর্তীতে মেয়েটি পাহাড় থেকে নিচে নেমে এসে কান্না করতে করতে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করতে চাইলে মেয়েটির পরিবার তাকে বাধা দেয় এবং তারা স্থানীয় বান্দরবান সদর থানার মধ্যে বিষয়টি অবগত করে। পরবর্তীতে বান্দরবান সদর থানার পক্ষ থেকে আজ ১৮ ই অক্টোবর একটি ধর্ষণ মামলা গ্রহণ করা হয় ।
এ বিষয়ে ভিকটিম জান্নাতুল ফেরদৌস মিমের মায়ের সাথে সরাসরি কথা বললে তিনি জানান আমরা গরীব মানুষ আমাদের একমাত্র সম্বল ইজ্জত। যা তিন লম্পট কেড়ে নিয়েছে । আমাদের বাঁচার আর কোন অবলম্বন নেই তাই আমরা প্রশাসনের কাছে এই ৩ অপরাধ কারীর কঠিন শাস্তি দাবি করছি যাতে তারা ভবিষ্যতে অন্য কোন মায়ের সন্তানের এভাবে ক্ষতি করে জীবন নষ্ট করতে না পারে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপরাধকারী মোহাম্মদ জয়নাল এর স্ত্রী সাথে সরাসরি কথা বললে তিনি জানান আমার স্বামী বগালেক ভাড়া নিয়ে গিয়েছিল আমি জানি, কিন্তু তারা বলতেছে আমার স্বামী মেয়েটিকে ধর্ষণের সাথে জড়িত ছিল। আমি পাড়াবাসী থেকে এসব কথা শুনতে পাচ্ছি, ঘটনা আসলে কতটা সত্য আমি জানিনা কারণ আমি ঘরের মধ্যে ছিলাম।
ধর্ষণের বিষয়ে বান্দরবান পুলিশ সুপার জেরিন আক্তার এর সাথে মুঠোফোনে সরাসরি কথা বললে তিনি জানান দর্শনকারী যে হোক না কেন তার প্রকৃত কঠিন শাস্তি হবে । আমরা প্রকৃত সত্য ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা করছি। আশা করছি খুব দ্রুত প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে অপরাধীকে কঠিন শাস্তি দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা হবে। যাতে পরবর্তীতে কোন অপরাধি এই ধরনের অপরাধ করতে সাহস না পায়।
Leave a Reply