৪ জুলাই বৃটেনের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির স্লোগান- ‘এটি পরিবর্তনের সময়’। দেশের অধিকাংশ সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, নির্বাচনে হারবেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। এদিকে যুক্তরাজ্যে হিন্দুদের প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। ইংল্যান্ডের তৃতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় গোষ্ঠী বৃটিশ হিন্দুরা ইতিমধ্যেই যুক্তরাজ্যে একটি প্রভাবশালী সম্প্রদায়। বিশ্লেষকদের মতে, ৪ জুলাইয়ের নির্বাচনে হিন্দু ভোটারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। ২০২১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, ১০ লক্ষ হিন্দু নাগরিক রয়েছেন বৃটেনে। এহেন পরিস্থিতিতে আসরে নেমেছে বৃটেনের ২৯টি হিন্দু সংগঠন। সাত দফা দাবি নিয়ে তারা প্রকাশ করেছে বিশেষ নির্বাচনী ইস্তেহার- ‘দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো ইউকে ২০২৪’। ৮ জুন প্রকাশিত ইশতেহারের সাতটি মূল দাবির মধ্যে ছিল হিন্দু-বিদ্বেষকে ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি। সেখানে বলা হয়েছে, সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে ছড়াচ্ছে বৃটেন জুড়ে হিন্দু ফোবিয়া।তার জেরে হিংসার শিকার হচ্ছেন হিন্দুরা।
জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (জেকেএলএফ), লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) এবং ইন্টারন্যাশনাল শিখ ইয়ুথ ফেডারেশনের মতো সংগঠনগুলি যুক্তরাজ্যের হিন্দু এবং ভারতীয়দের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সহিংস কার্যকলাপ করছে । ভারত এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী এজেন্ডা প্রচার করছে। সমস্ত ধরণের বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং ঘৃণামূলক অপরাধের জন্য দায়ী সংস্থাগুলিকে জবাবদিহির কথাও বলা হয়েছে ইশতেহারে। এই প্রথমবার বৃটিশ হিন্দুরা একত্রিত হয়ে সম্প্রদায়ের জন্য দাবি পেশ করেছে। লেবার এবং কনজারভেটিভ উভয়ই হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটকে নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা করছে। কনজারভেটিভ পার্টির নেতা তথা যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার বৃটিশ হিন্দু ভোটারদের আকৃষ্ট করতে মন্দির পরিদর্শন করেছেন। একাধিকবার ভারতবিরোধী মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে লেবার পার্টির নেতাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু হিন্দু মন জয় করতে সেই নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সচেষ্ট লেবার পার্টি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিও চাইছে তারা।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
Leave a Reply