কন্যা সন্তানের মা হয়েছে পরিচয় না পাওয়া মানসিক ভারসাম্যহীন ১৪ থেকে ১৫ বছর বয়সী সেই কিশোরী। গত রোববার রাত ৯টার দিকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান প্রসব করে সেই কিশোরী। এমন তথ্য জানিয়েছেন পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদ হাসান। ওই কিশোরী ও নবজাতক কন্যাসন্তান দু’জনই সুস্থ রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.নাহিদ হাসানের নির্দেশ মোতাবেক গতকাল বেলা ১২টার দিকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে ওই কিশোরী ও তার নবজাতক সন্তানের খোঁজ নেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) একেএম লুৎফর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমীন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দত্ত। একই সময়ে ফলমূল ও শীতের পোশাক নিয়ে ওই কিশোরী ও নবজাতককে দেখতে যান পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. সারোয়ার জাহান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শারমিন শাহনাজ জানান, গত ২৯শে অক্টোবর থেকে পরিচয় না পাওয়া মানসিক ভারসাম্যহীন ওই কিশোরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিল। সে অন্তঃসত্ত্বা ছিল। গত সকাল থেকে তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা খারাপ হয়।পরে হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক তাকে দেখেন এবং বয়স বিবেচনায় কিশোরী ও অনাগত সন্তানের সার্বিক দিক বিবেচনা করে ২৫০ শয্যা কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কন্যা সন্তান প্রসব করে সে। বর্তমানে মা ও নবজাতক উভয়ই সুস্থ রয়েছে।
গত ২৯শে অক্টোবর সকালে পুলিশের সহায়তায় মানসিক ভারসাম্যহীন ওই কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে উপজেলা প্রশাসন। সেখানে চিকিৎসীন ওই কিশোরীর সার্বিক খোঁজখবর রাখেন উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের লোকজন। পরিচয়হীন ওই কিশোরীকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও সেবিকারা।
এদিকে ওই কিশোরী মানসিক ভারসাম্যহীন। সে কিছুই বলতে পারছে না। তাই তার পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান। তিনি বলেন, কিশোরীর পরিচয় শনাক্তে পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশক্রমে দেশের সকল থানায় ছবিসহ বার্তা পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে কিশোরীকে ফলমূল ও পোশাক-পরিচ্ছদ দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে।
Leave a Reply