করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, খালেদা জিয়ার ফুসফুসে সংক্রমণ হওয়ায় তাকে এখনই বাসায় না নিয়ে হাসপাতালে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। নয়ত যেকোন সময় বিপদ হতে পারে বলে জানিয়েছেন খালেদার চিকিৎসক ডা. শাহাবউদ্দিন তালুকদার। এদিকে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা তারেকের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের কাছে খালেদার চিকিৎসার জন্য ৫০ কোটি টাকা দাবি করেছেন তারেক রহমান। মির্জা আব্বাস নিজেই জানিয়েছেন এই তথ্য।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, গতকাল ম্যাডামকে হাসপাতালে ভর্তির পর লন্ডন থেকে কল দেন তারেক রহমান। তিনি ম্যাডামের চিকিৎসার জন্য আমার কাছে ৫০ কোটি টাকা চেয়েছেন। দলের নেত্রী অসুস্থ, তার জন্য আমি সাধ্যমত সবই করব। কিন্তু এর জন্য ৫০ কোটি টাকা কেন লাগবে? আর এত টাকা আমি কই পাবো?
জানা গেছে, খালেদার করোনা ধরা পড়ার পরে বিষয়টি নিয়ে চাঁদাবাজি শুরু করেন তারেক রহমান। দলের ব্যবসায়ী নেতাদের কাছে খালেদার চিকিৎসার কথা বলে এর আগেও এক দফা টাকা নিয়েছেন তারেক। আবদুল আউয়াল মিন্টুর কাছ থেকে খালেদার চিকিৎসার কথা বলে এর আগে ১০ কোটি টাকা নেন তারেক। বিষয়টি নিয়ে আবদুল আউয়াল মিন্টু বিরক্ত বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে।
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমিও শুনেছি মির্জা আব্বাসের কাছে তারেক ৫০ কোটি টাকা চাঁদা চেয়েছেন। মির্জা আব্বাস সাহেব ব্যবসায়ী। তার টাকা আছে। তাই বলে এত টাকা চাইবেন? আর ম্যাডামের চিকিৎসার জন্য তো এত টাকা লাগবে না। আসলে লন্ডনে তারেক রহমানের ফুর্তির জন্য অনেক টাকা লাগে। তাই ম্যাডামের চিকিৎসার অজুহাতে এত টাকা চাচ্ছেন।
এদিকে বিএনপির ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, তারেক মির্জা আব্বাসের কাছে ৫০ কোটি টাকা চাইলেও তিনি প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে পারছেন না। কয়েকদিন আগে দলের নেতা ইলিয়াস আলীর গুমের জন্য বিএনপির কয়েক নেতাকে দায়ী করে বক্তব্য দিলে তার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হন তারেক। সে যাত্রায় তারেককে টাকা দিয়ে সামলেছেন তিনি। আর এই বিষয়টিকেই হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন তারেক। এখন খালেদার চিকিৎসার নামে ৫০ কোটি টাকা দাবি করে বসেছেন। যদি টাকা না দেন তাহলে মির্জা আব্বাসকে বহিষ্কারের হুমকিও দিয়ে রেখেছেন তারেক!
Leave a Reply