রিকশাচালকের ৬০০ টাকা কেড়ে নেয়ায় ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা হাইওয়ে পুলিশের তিন পুলিশকে বরখাস্ত করা হয়েছে। রিকশাচালকের কাছ থেকে ৬০০ টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগের একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।
শনিবার দুপুরে পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।একদিনের রোজগারের টাকা নিয়ে যাওয়ায় পরদিন না খেয়েই রোজা রাখতে হয় শামীম নামের ভুক্তভোগী ওই রিকশাচালককে। বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সচেতন এক নাগরিক একটি বার্তা পাঠান।
বার্তায় উল্লেখ করা হয়, এক অটোরিকশাচালকের সারারাতের আয় ৬০০ টাকা নিয়ে নিয়েছে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য। অভিযোগটি গুরুতর হওয়ায় মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং তাৎক্ষণিকভাবে বার্তাটি সংশ্লিষ্ট ইউনিট কমান্ডারের কাছে পাঠিয়ে অভিযুক্তদের দ্রুত শনাক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করে।
এরপর অভিযুক্ত তিন সদস্যকে তাৎক্ষণিক এক অফিস আদেশে সাময়িক বরখাস্ত করে তাদের হাইওয়ে পুলিশের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়ে হাইওয়ে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।
জানা যায়, মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা বাসস্ট্যান্ড ফুটওভার ব্রিজের পাশে ইউটার্নে অটোরিকশাচালক শামীমের কাছ থেকে ৬০০ টাকা চাঁদা নেয় ভালুকা হাইওয়ে পুলিশ।
মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে গাজীপুর হাইওয়ে রিজিয়নের কমান্ডার আলী আহমদ খান বিষয়টি তদন্তের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। একইসঙ্গে, অভিযুক্ত তিন সদস্যকে তাৎক্ষণিক এক অফিস আদেশে সাময়িক বরখাস্ত করে হাইওয়ে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।পুলিশ সদর দফতর জানায়, বরখাস্ত থাকাকালে ওই সদস্যরা পুলিশ লাইন্সে উপস্থিত থেকে নিয়মিত রোলকলে হাজিরা দেবেন এবং এই সময়ে তারা বিধি মোতাবেক কেবল খোরপোশ ভাতাদি পাবেন।
গঠিত তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট রিকশাচালককে খুঁজে বের করে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তাকে সব ধরনের সহযোগিতা ও সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দেয়া হয়েছে। সব সাক্ষ্য-প্রমাণ, তথ্য-উপাত্ত এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি বিবেচনায় অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে বিধান অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply