ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা পুলিশের ভূমিকায় সংবাদ সম্মেলনে অঝোরে কাঁদলেন কুতুবপুর গ্রামের ৭০ বছর বয়সের বৃদ্ধা খোদেজা খাতুন।
মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে খোদেজা খাতুন তার পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনের অভিযোগ করেন পুলিশের বিরুদ্ধে।
লিখিত বক্তব্যে বৃদ্ধা খোদেজা খাতুন বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধে গত ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে পুলিশ তাকেসহ ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক, আব্দুর রাজ্জাক এবং ছেলের স্ত্রী সুলতানা বেগমকে থানায় টেনে হিছড়ে নিয়ে যায়। পরে তাদের সাড়ে ৬ শতাংশ জমি প্রতিবেশী মানিক মিয়াকে দলিল করে দিতে চাপ দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় তাদের উপর শারীরিক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করা হয়।
পরে ১লা জানুয়ারী বিকালে মানিক মিয়া মারপিট ও চুরির অভিযোগ এনে ৬ জনের নামে মামলা করলে, তাদের আদালতে পাঠায় পুলিশ। সেই সুযোগে মানিক মিয়া জমিটি দখল নিয়ে বাউন্ডারী দেয়। এসব কথা বলার সময় সংবাদ সম্মেলনে খোদেজা খাতুনের ছেলে ও মেয়েরা উপস্থিত ছিলেন।
খোদেজা খাতুনের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, জমিতে তার মা ধান আবাদ করে চলতো। আমাকে কারখানা করে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিবে বলে এলাকার চিকু, সুরুজ, শরীফুল ইসলাম, হীরা, বাবুল এবং শাজাহান জমিটি মানিক মিয়াকে দানপত্র দলিল করে দিতে বলে। পরে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে জমিটি দানপত্র দলিল করে দেই।
কিন্তু এক বছর হয়ে গেলেও জমিতে কোন কারখানা হয়নি। জমির মূল্য অনুযায়ী টাকা না দিয়ে তারা বেদখল নিয়েছে। জমিটি সাব কবলা করে দিতে আমার মাকে চাপ সৃষ্টি করে। এ নিয়েই তাদের সাথে দ্বন্দ্ব হয়। পুলিশ কোন কারন ছাড়াই আমাদের ধরে নিয়ে মারপিট করে মামলা দিয়েছে। পরে তিনদিন জেলখাটার পর জামিনে বের হয়েছি। এখনও তারা নানা ভাবে হুমকী দিচ্ছে।
মানিক মিয়া বলেন, সাড়ে ৬ শতাংশ জমি আবু বক্কর সিদ্দিকের কাছ থেকে ক্রয় করেছেন। পরে জমিটি উদ্ধারে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় দরবারও হয়েছে। তাতে কোন লাভ হয়নি। এখন জমিতে বাউন্ডারী দিয়ে দখলে নিয়েছি।
মুক্তাগাছা থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, গত এক বছর আগে খোদেজা খাতুনের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক জমিটি মানিক মিয়ার কাছে বিক্রি করলেও তা দখলে নিতে পারেনি। তাই তাদের সহযোগিতা করা হয়েছে। অন্যায় কিছু করা হয়নি।
Leave a Reply