নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় অবৈধ গ্যাস বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।একপর্যায়ে গোটা এলাকা রণক্ষেত্র পরিণত হয়। এতে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আড়াইহাজার পৌরসভার ঝাউগড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে সংঘর্ষ হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ প্রহরায় ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ৩-৪ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তিতাস কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, আড়াইহাজার পৌরসভার ঝাউগড়া এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী ও জনপ্রতিনিধিদের ছত্রছায়ায় কয়েক হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ নেয় এলাকার লোকজন। গত সপ্তাহে তিতাস কর্তৃপক্ষ ঝাউগড়া এলাকায় কয়েকশ’ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেও ফের সংযোগ দিয়ে গ্যাস ব্যবহার করে আসছিল ব্যবহারকারীরা।
এরপর আজ দুপুরে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে তিতাস অফিসের লোকজন অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন শুরু করে। প্রায় ৫-৬শ’ অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর শত শত নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে আভিযানিক টিমের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় পুলিশ এলাকার লোকদের ধাওয়া দিলে শুরু হয় তুমুল সংঘর্ষ। পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট ও তিতাস অফিসের লোকদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন এলাকাবাসী। একপর্যায়ে ঝাউগড়া বাজার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়ে উঠে।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের এসআই সফিকুল ইসলাম ও হামলাকারীসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৮৭ রাউন্ড রাবার বুলেট, ১৩টি টিয়ারসেল (কাঁদানে গ্যাস) ছোড়ে। এ সময় পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করে।
Leave a Reply