রাজাপুর(ঝালকাঠি) প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় ধানসিঁড়ি নদী পাড়ের আশ্রয়ন প্রকল্প ২ এর ্রএকটি ঘর হস্তান্তরের তিন মাসেই ভেঙ্গে পড়েছে। গত পনেরদিন আগে থেকে এ ঘরের পিছন অংশে ফাটল দেখা দিলেও
শুক্রবার হঠাৎ করে এই প্রকল্পের ৪২নং ঘরের পিছন অংশ বারান্দাসহ ভেঙ্ েপড়ে যায়। ঘটনাটি জানাজানি হবার আগেই ঠিকাদারের সহযোগী রফিক লোকজন নিয়ে ভাঙ্গা চোড়া অংশ সরিয়ে ফেলেন। প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রেরিত অনুসরণীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে নি¤œমানের কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ সুবিধা ভোগী ও স্থানীয়দের।
জানা গেছে, আশ্রয়ন প্রকল্প ২ এ নির্মিত ধানঁিসড়ি নদী পাড়ে সরকারী জায়গায় নির্মিত এই প্রকল্পে ১৪টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। শুরু থেকেই স্থানীয়রা ও সুবিধাভোগীদের পক্ষ থেকে নি¤œমানের কাজের অভিযোগ করা হলেও গুরুত্ব দেয়নি ঠিকাদার। এক লাখ একাত্তর হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের এই ঘরগুলোতে ইট, বালুসহ সিমেন্টের গুনগত মান ঠিক না রেখেই কাজ শেষ করে এপ্রিল মাসে সুবিধা ভোগীদের কাছে হস্তান্তর করে উপজেলা প্রশাসন। এছাড়াও ঘরের আড়া ও টিনের ছাওনির নিচে শিলকড়ই কিংবা ভাল মেহগনী কাঠ ব্যাবহার করার কথা থাকলেও স্থানীয় নি¤œমানের রেইনট্রি কিংবা চাম্বল কাঠ ব্যবহার করেছেন ঠিকাদার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই প্রকল্পের ১৪টি ঘরের প্রায় আটটি ঘর ইতিমধ্যেই সংস্কার উপযুক্ত হয়ে পড়েছে। প্রত্যেকটি ঘরের মেঝে ফেটে গিয়ে গর্তে পরিনত হয়েছে,কয়েকটি ঘরের সামনের পিলার ভেঙ্গে পড়েছে, দেয়ালের পলেস্তরা খসে পড়ছে, টিনের ছাউনি দিয়ে ভেতরে পানি প্রবেশ করছে, দেয়াল ফেটে গিয়েছে, জানালা খুলে পড়ে যাচ্ছে,টয়লেটের দরজা লাগছে না।
এই প্রকল্পের বাসিন্দা সুবিধাভোগী মমতাজ বেগম বলেন, আমাগো কিছু নাই দেইখ্যা প্রধানমন্ত্রী আমাগো একখান ঘর দিছে, কিন্তু ঠিকাদারের কাজের মান খারাপের কারনে ঘরের যে অবস্থা যে কোন সময় ভাইঙ্গা মাথার উপর পড়তে পারে। পরশুদিন ৪২নং ঘর ভাইঙ্গা পড়ার পর হইতেই আমরা আতঙ্কে আছি।
আর এক বাসিন্দা আ. রহিম বলেন, এতদিন এদিক ওদিক থাকার পর মাথা গোঁজার একটু ঠাঁই পাইলেও মাত্র তিন মাসে ঘরের বিভিন্ন জায়গা ফাটল ধরে ভাঙ্গা শুরু হইছে,মনে হয় আর তিন মাস পর এই ঘরে আর থাকার অবস্থা থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর এই সুন্দর উদ্দোগকে যারা প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাচ্ছে তাদের বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেন বলেন, প্রকল্পের কাজ শেষ হবার পর অমরা জেনেছি এই ৪২নং ঘরের নিচে একটি ডোবা ছিল তাই আমরা ঘরটি কোন সুবিধা ভোগীকে হস্তান্তর করিনি। এরইমধ্যে ঘরটির পিছনের অংশ ডেবে গিয়ে ধ্বসে পড়ায় আমরা নতুন করে ধানসিড়ি নদীর ঐ জায়গায় পাইল বসিয়ে আবার সংস্কার শুরু করেছি। সংস্কার শেষ হলে একজন সুবিধা ভোগীর মাঝে ঘরটি হস্তান্তর করা হবে।
এছাড়াও আমরা প্রকল্পের প্রত্যেকটি ঘর পরিদর্শন করে যদি মেরামতের দরকার হয় তাহলে আমরা সেগুলো মেরামতের ব্যাবস্থা করব।
Leave a Reply