আজিজুল ইসলাম : করোনা ভাইরাসের বিস্তারে বিশ্বের প্রতিটি দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে নানারকম বিদ্বেষমূলক বক্তব্য। যার ফলে আমাদের সমাজে সৃষ্টি হচ্ছে সহিংসতার। এর পরিপেক্ষিতে ‘শান্তি মশাল’ এর উদ্যোগে ” বাংলাদেশ উদীয়মান বিদ্বেষমূলক বক্তব্যঃ পরিস্থিতি, প্রভাব এবং এগিয়ে যাওয়ার উপায় ” বিষয়ক ওয়ার্কশপের আয়োজন করে।
৬ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৭ টার সময় জুম এ্যাপস এর মাধ্যমে ওয়ার্কশপের আয়োজন করে।সাদিয়া বিনতে সিদ্দিক ও আজিজুল ইসলামের সঞ্চালনায় ‘শান্তি মশাল’ এর প্রজেক্ট এসিস্ট্যান্ট সাগর সরকার প্রকল্প নিয়ে আলোকপাত করেন।ওয়ার্কশপে স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো মাসুদুর রহমান( জাককানইবি) এবং ডিরেক্টর অব মিডিয়া & পাবলিকেশন তাহিয়া ইসলাম। মাসুদুর রহমান তার আলোচনায় বলেন, ” ঘৃণা বা বিদ্বেষ ছড়িয়ে নানান ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করা হয়,তাই সামগ্রিকভাবে ঘৃণা হলো প্রভাবশালীদের এক রকমের হাতিয়ার, এর বাহিরে এককভাবে যারা ঘৃণা ছড়ান,তারা কুশিক্ষা বা কুচেতনার বশবর্তী হয়ে এমন করেন বলে মত বিশ্লেষকদের।” তার আলোচনায় উঠে আসে হেট স্পিচ কি,চিহ্নিত করণ,এর থেকে পরিত্রাণের উপায় ইত্যাদি। তিনি আরও বলেন, ” ঘৃণা নয়, ভালবাসা ছড়িয়ে দিন।”পরবর্তী স্পিকার তাহিয়া ইসলাম তার জীবনের পূর্ব অভিজ্ঞতা আলোচনায় তুলে ধরেন।তিনি সেক্সিজম, মিসোজেনিসটিক্টস বিহেভিয়ার, টক্সিক ম্যাসক্লিনিটি ইত্যাদি বিষয়ের উপর বিশদ আলোচনা করেন।অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য রাখেন প্রজেক্ট হোল্ডার সানজিদা হোক ভাবনা।তিনি বলেন,” কোভিড-১৯ এর মহামারী লর সময়ে আমরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছি,তার মধ্যে একটি বড় সমস্যা হচ্ছে ঘৃণামূলক বক্তব্য।এই ঘৃণামূলক বক্তব্যের জের ধরেই সমাজে শান্তি ও সম্প্রতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।” তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, শান্তি মশাল প্রকল্পটি পরিচালনা করছেন সানজিদা হক ভাবনা তিনি বর্তমানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এই প্রকল্পটি মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত ‘নেটওয়ার্ক ফর রিলিজিয়াল অ্যান্ড ট্র্যাডিশনাল পিসমেকার্স’ এর আওতায় আহা (অ্যাওয়ারনেস উইথ হিউম্যান অ্যাকশন) প্রজেক্টের একটি উদ্যোগ।
Leave a Reply