২৯তম বিসিএস এর এই উপ সচিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুরক্ষা বিভাগে তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মরত রয়েছেন। বিগত দিনে আওয়ামী সরকারের উপর মহল থেকে তদবির করে বিভিন্ন সময় সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। বিগত দিনে মন্ত্রণালয়ে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছেন রিবা। আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সূত্র ধরে সুরক্ষা বিভাগের অধীনে বিভিন্ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকদের সাথে তার রয়েছে দহরম মহরম সম্পর্ক। রয়েছে অনৈতিক লেনদেনের সুসম্পর্ক। বিগত সরকারের দুর্নীতিবাজ ও ছাত্র-জনতার হত্যার নির্দেশকারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে তারা অসংখ্য বেআইনি কাজ করেছেন যা এখনো লিপিবদ্ধ আছে। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পরেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আফরোজা আক্তার রিবার বেশকিছু অনিয়ম ধরা পড়েছে তবে মন্ত্রণালয়ের কিছু অফিসার তার জন্য সুপারিশ করে বাঁচিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। ঐসব কর্মকর্তা তার সাফাই করে বলেছে যে, এটা তো রিবার কিছু নাই উপরে নির্দেশে সে সই করেছে।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠতম রিবা সিন্ডিকেটের অন্যতম দোসর প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু শাহেদ। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সরকার দলীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের দাপট দেখিয়ে সচিবালের বিভিন্ন শাখায় সুবিধামত বদলি নেন। সচিবালের প্রতিটি কর্মকর্তা কর্মচারী এই প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে আওয়ামী লীগের দাপুটে কর্মকর্তা হিসেবে চিনতেন। বর্তমানে তিনি নিরাপত্তা এবং বহিরাগমনে বদলির জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ।নিরাপত্তা বহিরাগমনে একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা থাকার পরেও তিনি এখানে বিধি বহির্ভূত অফিস করছেন। শেখ হাসিনার সরকার বদলের পরেও বদলায়নি এদের তার দাপট। রিভা ও সাহেদ জুটি বেশ কয়েক বছর ধরে শেখ হাসিনা সরকারের যে ঘনিষ্ঠতম আমলাতন্ত্র সচিবালয়ে বহাল ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম। যাদের ছত্রছায়া তারা কাজ করতেন তারা অনেকেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় স্বৈরাচারীর দোসর হিসেবে কাজ করার অপরাধে জেলখানায় বন্দী রয়েছেন। অথচ তারা এখনো মন্ত্রণালয় তাদের দাপুটে ভেলকি দেখিয়ে যাচ্ছেন। যা দেখে হতভম্ব সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায় , স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের একাধিক দোসর আমলাতন্ত্র এখনো সচিবালায় বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তার মধ্যে উপ সচিব রিবা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু সাহেদ সহ অনেকেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বহাল। আবু সাহেদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দোহাই দিয়ে মন্ত্রণালয়ের পছন্দমত গুরুত্বপূর্ণ শাখায় প্রশাসনিক কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করতেন। স্বৈরাচার সরকারের আমলের ঘনিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় শাহেদ ইমিগ্রেশন শাখায় প্রশাসনিক কর্মরত থাকার জন্য মরিয়া হয়েছেন। সাহেদ সব সময় নিজেকে সচিবালের নেতা বলে পরিচয় দেন। তার নির্দেশেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসারদের তালিকা তৈরী করা হয় হয়। কে কোন শাখায় যাবে।
বিশ্বস্ত সূত্র আরও জানায়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম এর ঘনিষ্ট হিসেবে কাজ করত শাহেদ। তিনি ইব্রাহীম এর ক্ষমতা দেখিয়ে মন্ত্রণালয়ে দাপট দেখাতেন। মোল্লা ইব্রাহিম বর্তমানে জেলে আছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা স্বৈরাচার সরকারের দাপটে সব সিন্ডিকেটের কবল থেকে রক্ষা পেতে চান। বর্তমানে ও তাদের এতটা দাপট যে তাদেরকে ভয় কিছু বলতে সাহস পায়না উল্টো সবাইকে হুমকি দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন এনজিও কর্মীদের কাছ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছেন আবু সাহেদ। সে নিরাপত্তা ও বহিরাগমন নিরাপত্তা অনু বিভাগে বহাল থাকার জন্য উপ সচিব রিবা সহ সাবেক সরকারের ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তাদের সহযোগিতা নিচ্ছেন।
Leave a Reply