সঙ্গিনীর বদলে পর্নোগ্রাফিতে মন? কী সমস্যা হতে পারে, বলছেন বিশেষজ্ঞ!
যতই রাখঢাক থাক না কেন, পর্নোগ্রাফি (Pornography) সমাজের এক বৃহৎ অংশের মানসিকতা এবং যৌন চাহিদার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এক দিকে এই ইন্ডাস্ট্রিও যে রকম সক্রিয়, তেমনই সক্রিয় তা দেখার অভ্যাসও।
এই পর্বে বিশেষজ্ঞা পল্লবী বার্নওয়াল মুখ খুলেছেন এই পর্নোগ্রাফির প্রসঙ্গেই! নাম প্রকাশ না করে তিনি জানিয়েছেন এক যুবকের কথা। ওই ব্যক্তি চিঠি মারফত জানিয়েছেন যে তিনি যৌনক্রীড়ার (Sex) ক্ষেত্রে নতুন নতুন আসন (Sexual Position) নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা পছন্দ করেন। কিন্তু তাঁর স্ত্রী এ ব্যাপারে একেবারেই আগ্রহী নন। কখনও কখনও তাঁর এই ইচ্ছা স্ত্রীর কাছে অত্যাচার বলে মনে হয়, এটাও লিখতে দ্বিধা বোধ করেননি তিনি। কাজেই তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক আপাতত বন্ধ! এ ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি সাহায্য নিয়েছেন পর্নোগ্রাফি এবং হস্তমৈথুনের (Masturbation)। তিনি জানতে চেয়েছেন- নিয়মিত এই অভ্যাস চালিয়ে গেলে তা তাঁর শরীরে কোনও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে কি না?
পল্লবীর বক্তব্য- নিয়মিত পর্নোগ্রাফি দেখা এবং হস্তমৈথুনের অভ্যাস শারীরিক ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা তৈরি করে না। কিন্তু যদি সঙ্গিনী যৌনক্রীড়ায় আগ্রহী না হন, তবে সম্পর্কে এবং মানসিক ক্ষেত্রে তো সমস্যা দেখা দেবেই! তা হলে করণীয় কী?
১. সবার প্রথমে পল্লবী এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে যৌনতা মানেই কেবল অন্যের শরীরে নানা আসনে প্রবিষ্ট (Penetration) হওয়া নয়! এটা একেবারে শেষের ধাপ! তাই সঙ্গিনীকে তার জন্য তৈরি হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। তাঁর ছোট ছোট চাহিদার প্রতি নজর দিলে নিঃসন্দেহেই যৌন আকর্ষণ তৈরি হবে। সারা দিনে তাঁকে সময় দিলে, প্রশংসা করলে, তাঁর জন্য কিছু করলে তিনিও উন্মুখ হয়ে থাকবেন ভালোবাসার শারীরিক বহির্প্রকাশের জন্য।
২. দ্বিতীয় ধাপটি হল শৃঙ্গার। সঙ্গিনীর মানসিকতা বুঝে নিবিড় আলিঙ্গন (Cuddle), শরীরের বিশেষ বিশেষ জায়গায় স্পর্শ (Teasing), চুম্বনের (Smooching) মধ্যে দিয়ে জাগিয়ে তুলতে হবে কামোদ্দীপনা। পরিবর্তে তিনিও একই ভাবে যৌনতায় সাড়া দেবেন। এ ভাবে অনেকক্ষণ ধরে তাঁকে উত্তেজিত করে রাখতে পারলে নানা আসনে পরস্পরের সঙ্গে সংশ্লেষের বিষয়ে তাঁর আপত্তি কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল!
Leave a Reply