লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
সাত বছর পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হলো একাধিক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি পৃতিশ চন্দ্র বর্মনের(৪২)। অবশেষে তার অবস্থান চিহিৃত করে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এর দিক নির্দেশনায় নীলফামারী থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এরশাদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতারকৃত পূতিশ চন্দ্রকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার (২৬ এপ্রিল) রাতে নীলফামারী শহরের নিউ বাবুপাড়ার একটি ভাড়া বাসা থেকে লালমনিরহাট থানা পুলিশ তাকে পলাতক থাকার ৭ বছর পর গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পৃতিশ চন্দ্র বর্মন লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের নীলমাধব চন্দ্রের ছেলে ও রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ষ্টোর কিপার।
মামলার অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, পৃতিশ চন্দ্র বিভিন্নজনের কাছে চেকের মাধ্যমে কয়েক লাখ টাকা প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১১টি মামলা দায়ের হয় লালমনিরহাট আদালতে। এরমধ্যে ৫টি মামলার রায়ে সর্বমোট ১৫ মাস ১৫ দিনের জেল ও ৪৫ লাখ ৮ হাজার ৩৫০ টাকা জরিমানা করা হয়। গত সাত বছর ধরে তিনি তার কর্মস্থলেও দায়িত্ব পালন না করে পলাতক থাকে।
লালমনিরহাট হাট থানার এসআই সাহারুল ইসলাম জানান, আসামীর প্রথমে পোস্টিং ছিল লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা হাসপাতালে। এখান থেকে আসামী বদলি হয়ে বদরগঞ্জ চলে যায়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে আদালতের ১১টি মামলার মধ্যে ৫টি মামলার সাজা ও গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়। অবশেষে তার অবস্থান চিহিৃত করে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এর দিক নির্দেশনায় নীলফামারী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
Leave a Reply