চরফ্যাশন সরকারি কলেজের অফিস সহায়ক বিবি খাদিজা নাসরিন (২৯) এর ঝুলান্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নারীর শ্বশুরবাড়ি পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ড কালিয়াকান্দি গ্রামের দেওয়ান বাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। এর দুই দিন আগে খাদিজা একটি সন্তানের জন্ম দেন। এ সময় তার রুমের খাট থেকে নবজাতক শিশু জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) সকালে চরফ্যাশন থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিবি খাদিজা (নাসরিন) পৌরসভা ১ নম্বর ওয়ার্ডের হাদিস মিস্ত্রী বাড়ির মো. ফারুক হোসেনের বড় মেয়ে।
নিহতের বড় ভাই মো. সাইফুল ইসলাম রুবেল জানান, গত ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় আমার বোনের চরফ্যাশন হাসপাতালে একটি ছেলে হয়েছে। পরদিন রবিবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে আমার বোনকে তার স্বামী শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যায়। সন্ধ্যায় গলায় ফাঁস লাগানো ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। প্রায় দুই বছর আগে আবুল হোসেন দেওয়ানের ছেলে মো. কামাল হোসেন দেওয়ানের সঙ্গে বিবাহ হয় আমার বোনের। এর আগে কামাল হোসেনের দুই স্ত্রী থাকলেও তাদের তালাক দেয়। কিন্তু দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে কামালের একটি মামলা চলমান। পরিকল্পিতভাবে আমার বোনকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই হত্যা করেছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে কামাল হোসেনসহ তার পরিবারের কাউকেই পাওয়া যায়নি। এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে ওই এলাকায় ধূম্ররজালের সৃষ্টি হয়েছে।
চরফ্যাশন থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা বের করার চেষ্টা চলছে। কাউকে আটক করা হয়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply