ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় গৃহবধু কুলসুমকে (২০) গলাটিপে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ স্বামী হাসান মিয়াকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতাকৃত স্বামী হাসান মিয়া উপজেলার কাহালগাঁও দক্ষিণপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল হামিদের ছেলে। নিহত কুলসুম আক্তার উপজেলার আছিম ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের মৃত হাতেম আলীর মেয়ে। তাদের সংসারে ৪২ দিন বয়সী এক ছেলে শিশু রয়েছে। বুধবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কাহালগাঁও দক্ষিণপাড়া গ্রামের একটি লেবু বাগান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ওই দিন বিকালে হাসান মিয়াকে আসামী করে ফুলবাড়িয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে নিহতের ভাই রফিকুল ইসলাম। বিষয়টি নিশ্চিত করে ফুলবাড়িয়া থানার ওসি আজিজুর রহমান বলেন, গৃহবধু কুলসুম আক্তারকে গলাটিপে হত্যা করে বাড়ির পাশের লেবুর বাগানে ঝুলিয়ে রাখে। নিহতের গলায় আঙ্গুলের চিন্হ ও বুকে আঘাতের চিন্হ রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) মরদেহ ময়নাতদন্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি আজিজুর রহমান আরও বলেন, প্রায় দুই বছর আগে হাসান আলীর সঙ্গে কুলসুম আক্তারের বিয়ে হয়। গত প্রায় এক বছর যাবত যৌতুকসহ নানা বিষয়ে কুলসুমকে তার বাবার বাড়িতে যেতে দেয়নি হাসান। গতকাল মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) বাবার বাড়ি থেকে কুলসুমের ভাবি তাকে নিতে হাসানের বাড়িতে গেলেও কুলসুমকে তার বাবার বাড়িতে যেতে দেয়নি। এ নিয়ে রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।

পরে আজ সকালে বাড়ির পাশে লেবু বাগানে ঝুলন্ত অবস্থায় কুলসুমের লাশ দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হলেও কুলসুমের পা হাটু পর্যন্ত মাটিতে লেগে ছিল। এ ঘটনায় স্বামী হাসান মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান ওসি আজিজুর রহমান।