যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ইনচার্জ উত্তম কুমার এর সহযোগিতায় মাদক ব্যবসা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে ওই ইনচার্জ নিজের গাঁ বাঁচানোর জন্য মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে আঁতাত করে মাঝে মধ্যে কিছু মাদক আটকও দেখাচ্ছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। আর এই মাদক থেকে ঘুষ, বা চাঁদা নিয়ে একটি বিশেষ পেশার লোকদের ম্যানেজ করছে বলেও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মিলেছে।
বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ওই বিশেষ পেশার লোকদের নামের যে তালিকা রয়েছে তাতে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে মাসিক ৫০০০ টাকা পর্যন্ত প্রদান করার নমুনাও পাওয়া গেছে। যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া এলাকায় গোগা, অগ্রভুলোট, রুদ্রপুর, দাঁতখালীসহ বিশাল একটি এলাকা রয়েছে ভারত সীমান্ত জুঁড়ে। এপথে প্রতিদিন ফেনসিডিল, গরু, কসমেটিক্স, শাড়ি, থ্রিপিছসহ নানা ধরনের পণ্য আসে চোরাইপথে। আর এই পণ্য বহনকারী ও ঘাট মালিকদের সাথে রয়েছে ফাঁড়ির ইনচার্জ উত্তম কুমার বিশ্বাস এর অলিখিত চুক্তি। বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিদিন এসব পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। তবে মাঝে মধ্যে এসব পণ্যের দুই একটি চালান আটক করে দেখানো হয় ফাঁড়ির ওই কর্মকর্তা মাদকসহ অন্যান্য পণ্য আটক করছে।
বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র কন্সটেবল (বকশি) মহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিমাসের ১৮-২০ তারিখের দিকে একটি বিশেষ পেশার কর্মীদের লিস্ট স্যার আমার নিকট থেকে নেয়। এরপর সেই তালিকা অনুযায়ী তাদের তিনি মাসিক একটি সম্মানী প্রদান করেন। এই টাকার উৎস কোথা থেকে এরকম প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা স্যার জানে আমি জানি না।
প্রতি মাসে এই বিশেষ পেশার লোকদের তালিকা করে টাকা দেওয়া হয় এ বিষয়ে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদরুল আলম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয় কিছু জানি না। আপনি তার কাছে জিজ্ঞাসা করেন তিনি কি জন্য কোথা থেকে এটা প্রদান করেন।
বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উত্তম কুমার বিশ্বাস বলেন, গত শুক্রবার থেকে এ ধরনের অর্থ প্রদান বন্ধ করা হয়েছে।
Leave a Reply