1. iamparves@gmail.com : admin :
  2. najmulhasan7741@gmail.com : Najmul Hasan : Najmul Hasan
  3. janathatv19@gmail.com : Shohag Khan : Shohag Khan
মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন

অস্বস্তি বাড়াচ্ছে দ্রব্যমূল্য

মো. মাঈন উদ্দিন
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২০

দেশে গত কয়েক মাসে করোনার প্রভাবে লাখ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেকে সঞ্চয়ের শেষ অংশটুকু হারিয়ে পথে বসেছে। এসব মানুষ আজ দিশেহারা। তাদের এখন নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। এমন সময় মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে বাজারদর। প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম এখন আকাশছোঁয়া। দরিদ্র মানুষের দীর্ঘশ্বাসে মিশে আছে একটি প্রশ্ন- আমরা সন্তানাদি নিয়ে বাঁচব কী করে?

বাজারে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন। এর সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে আলু। সঙ্গে ভোজ্যতেল, ডিম, আদা, রসুন; সবজির উচ্চ দামও মানুষকে ভোগাচ্ছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ার কারণে দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বিভিন্ন পত্রিকার তথ্যমতে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকায়, যা এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৪২-৪৪ টাকায়। প্রতি কেজি মসুর ডাল (বড়দানা) বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৭৮ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ৬৮-৭০ টাকা। খোলা আটা প্রতি কেজি ৩০-৩২ টাকা; এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ২৫-২৬ টাকায়।

ভোজ্যতেলের মধ্যে খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ৮৬-৮৭ টাকায়; এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৭৯-৮২ টাকায়। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৫১০ টাকায়, এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকায়। বাজারে দীর্ঘদিন ধরেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। ১১০ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিম এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। গত চার মাসের বেশি সময় ধরে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। এখন আরেক দফা দাম বেড়েছে কাঁচামরিচের।

এদিকে দাম বাড়ানোর পেছনে নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। খুচরা চাল বিক্রেতারা দুষছেন মিলারদের। তারা বলছেন, মিলারদের কারসাজিতে এখনও চালের দর বাড়তি। তারা সিন্ডিকেট করে মিল পর্যায় থেকে সব ধরনের চালের দর বাড়িয়ে দিয়েছে। যে কারণে পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে চালের দর বেশি।

পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, দেশে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজসহ সব পণ্যেরই মজুত ও সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অনৈতিক লাভের নেশায় মেতে উঠেছে। কেউ কেউ পণ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। এতে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। কষ্ট বাড়ছে নিম্নআয়ের মানুষের।

মন্ত্রণালয়ের সূত্র থেকে আরও জানা গেছে, নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। কোনো পরিস্থিতিতেই বাজার যাতে অস্থির হতে না পারে সেজন্য কৌশল নির্ধারণও করা হচ্ছে। পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখার পাশাপাশি যাতে কেউ কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে, সে বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটরিংয়ের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ ক্রেতার সাধ্যের মধ্যে রাখতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজন হলে আমদানিনির্ভর পণ্যগুলোর সরবরাহ ঠিক রাখার জন্য আমদানির পরিমাণ বাড়িয়ে মজুত স্বাভাবিক রাখা হবে।

নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির পেছনে রয়েছে অনেক কারণ। কারণ যাই হোক না কেন, দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া সাধারণ মানুষের কিছু করার নেই। বাজার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকে। সঠিক পদক্ষেপ নেয়া হলে বাজারদর নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। বাজারদর নিয়ন্ত্রণে আসুক, নিম্নআয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকুক; এটাই প্রত্যাশা।

মো. মাঈন উদ্দিন : পার্সোনাল অফিসার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:২২
  • ১২:২৮
  • ৫:০৩
  • ৭:১০
  • ৮:৩৩
  • ৫:৪৩