ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে সরকারের টেক্স ফাঁকি দিতে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে বিড়ি বিক্রির বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
একটি অসাধু চক্র সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নকল ব্যান্ডরোল সেঁটে বিড়ি বিক্রি ও মজুদ করে যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে গত ৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার ও মজুদের অভিযোগে ২ ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দুপুরে উপজেলার ধারা, বাহিরশিমূল, শাকুয়াই ও নাগলা বাজারে অভিযান চালিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর আহমেদ এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ভাই ভাই স্টোরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং সুশান্ত স্টোরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ৫ হাজার ১ শত প্যাকেট নকল ব্যান্ডরোল বিড়ির প্যাকেট জব্দ করা হয়।
একই অপরাধে গত রোববার গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখোলায় দোকানী সজলকে ২০ হাজার, রিপনকে ৫ হাজার ও খোকনকে ৫ হাজার টাকা, কলতাপাড়ায় দোকানদার আজিজুলকে ২ হাজার টাকা, গৌতমকে ২ হাজার টাকা ও সত্য বাবুকে ২ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার(ভূমি) মো. আবিদুর রহমান।
এদিকে গত সোমবার ধোবাউড়া উপজেলার গোয়াতলা বাজারে নকল ব্যান্ডরোল সাঁটানো বিড়ি বিক্রির দায়ে দোকানদার লিটন মুন্সিকে ২ হাজার টাকার জরিমানা করেন সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা হাসান। এসময় পাখি বিড়ির স্থানীয় ডিলার ইদুল মিয়া অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
দয়াল বিড়ি, নবাব বিড়ি, বাংলা বিড়ি, আশিক বিড়ি, পাখি বিড়ি, সাজ্জাদ বিড়ি, তৃপ্তি বিড়ি, জনি বিড়ি, মোহিনীসহ প্রায় ৭ লক্ষ ৫০ হাজার নকল ব্যান্ডরোল লাগানো বিড়ি জব্দ করা হয়। সেই সাথে সেখানে পাখি বিড়ির একটি গোডাউন সিলগালা করা হয়।
কাস্টমস, এক্সাসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ময়মনসিংহ অঞ্চল জানান, ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে সরকার ১টি ব্যান্ডরোল ৯টাকা ৯ পয়সা নির্ধারণ করে দেয়। সেক্ষেত্রে প্যাকেট প্রতি ১৮ টাকার নিচে কোন বিড়ি বিক্রি করা সম্পূর্ণ অবৈধ।
কিন্তু ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা কিছু বিড়ি কোম্পানী নকল ব্যান্ডরোল প্রেস থেকে তৈরী করে ৯/১০ টাকায় ১প্যাকেট বিড়ি বিক্রি করছে এতে করে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। সরকারের রাজস্ব বাড়াতে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে যারা ব্যবসা করছে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
Leave a Reply