বিভিন্ন স্থান থেকে যেসব লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেয়া হতো, সেসব লাশের মধ্য থেকে মৃত নারীদের ধর্ষণ করতো সৎকারকর্মী মুন্না ভগত । সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মৃত নারীদের মরদেহ ধর্ষণের অভিযোগে গতবছরে দায়ের করা দুইটি মামলায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন অভিযুক্ত মুন্না। ঢাকার মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভুইয়ার আদালতে স্বেচ্ছায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি। রোববার তেজগাঁও থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আফসানা আক্তার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রিমান্ড শেষে শনিবার মুন্নাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করলে বিচারক তা রেকর্ড করেন। এরপর বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি আসামি মুন্না ভগতকে আদালতে হাজির করা হয়।এরপর দুই মামলায় ৭দিন করে মুন্নার ১৪ দিন রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম। শুনানি শেষে দুই মামলায় মোট ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মর্গে মৃত নারীদের মরদেহ ধর্ষণের ঘটনায় গত বছরের ১০ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানার এসআই মো. আল আমিন বাদী হয়ে মুন্নার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এরপর ২৫ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানার এসআই সনজিৎ কুমার ঘোষ বাদী মুন্নার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। মর্গে মৃত নারীদের ধর্ষণের অভিযোগে গত বছরের নভেম্বরে মুন্না ভগতকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মুন্না রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ডোম জতন কুমার লালের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। দুই-তিন বছর ধরে সে মর্গে থাকা মৃত নারীদের ধর্ষণ করে আসছিল।
Leave a Reply