ডা. মো. আরিফুল ইসলাম রাকিবের বিরুদ্ধে বাগেরহাটের শরণখোলায় ২৫ বছর বয়সী এক গৃহবধূর জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ।তবে অভিযুক্ত চিকিৎসক বললেন, অপারেশন করতে গেলে ‘একটু ভুল হতেই পারে।’ভুক্তভোগী হালিমার স্বজনরা জানান, ২৮ জুন হালিমাকে রায়েন্দা বাজারের নিউ-সুন্দরবন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। তাকে সিজার করাতে হবে বলে জানান একই ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. মো. আরিফুল ইসলাম রাকিব। এরপর ওই রাতেই হালিমাকে সিজার করেন তিনি। কিন্তু অপারেশন থিয়েটারে নিজের অবহেলার কারণে তার জরায়ু কেটে ফেলেন।ডা. রাকিবের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বললে তিনি বলেন- ‘জরায়ু আগে থেকেই ফাটা ছিল। অথচ আলট্রাসনোগ্রাফিতে এমন কিছুই পাওয়া যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডা. রাকিবের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নুতন নয়। তিনি ডাক্তারি পাস করে সর্বপ্রথম নিজ এলাকার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দেন। এলাকার প্রভাব খাটিয়ে ক্লিনিকপ্রেমী হয়ে ওঠেন। সার্জারিতে অভিজ্ঞ না থাকলেও উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে নিয়মিত সার্জারি করেন। এছাড়া হাসপাতালে সময় না দিয়ে ক্লিনিকে গিয়ে রোগী দেখেন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ডা. মো. আরিফুল ইসলাম রাকিব বলেন, চিকিৎসা দিতে গেলে অনেক সময় ভুল হয়। গৃহবধূ হালিমার জরায়ু আগে থেকেই ফাটা ছিল। এ জন্যই কেটে ফেলা হয়েছে। এ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই।
Leave a Reply