প্রেম মানে না কোনো জাত-পাত, বাধা-বিপত্তি। মানে না কোনো শাসন-বারণ। সেজন্যই কিনা ভালোবাসার টানে টাঙ্গাইলে থাকা প্রেমিকার কাছে (অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় নাম প্রকাশ করা হয়নি) ছুটে এসেছেন নোয়াখালীর বিলকিস। তাতে এলাকায়জুড়ে দেখা গিয়েছে চাঞ্চল্য।
জানা গেছে, ফেসবুক ও টিকটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। এরপর দীর্ঘদিন কথা হয় হোয়াটসঅ্যাপে। জড়িয়ে পড়েন ভালোবাসার গভীর সম্পর্কে। তিন মাস আগে দু’জনে একসাথে ঘরও ছেড়েছিলেন একে অপরকে ভালোবেসে। পরবর্তীতে পরিবারের চাপে বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য হয় তারা। এবার আরও বেপরোয়া তারা।
বিলকিস বলেন, আমি পরিবারকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তারা আমাদের সম্পর্ক মানবে না, তাই বাড়ি থেকে নিরুপায় হয়ে পালিয়ে এসেছি। এখন তার পরিবার না মানলে আমরা দু’জনে অন্য কোথাও গিয়ে বসবাস করবো।
বিলকিসের অপ্রাপ্তবয়স্ক প্রেমিকার ভাষ্য, বিলকিসের সাথে ফেসবুকে পরিচয়। তারপর থেকে আমরা দু’জনে সম্পর্কে জড়িয়ে যাই। এখন বিলকিস আমার কাছে এসেছে। আমি তাকে আর যেতে দিবো না।
এলাকাবাসী বলছেন, এমন ঘটনা কখনো দেখেননি তারা। বিষয়টি আসলেই অবাক করার মতো।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সেকান্দার আলী স্বপন বলেন, নোয়াখালীর ওই মেয়েটি রোববার সন্ধ্যায় এসেছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। দুই কিশোরীর দাবি- তারা কেউ কাউকে ছাড়া থাকবে না। তারা গার্মেন্টসে চাকরি করে একত্রে সারাজীবন কাটাবে বলে জানিয়েছে। এক্ষেত্রে তারা একে অপরকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
দুই কিশোরীর সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের তৈরি হয়। আমরা এখন কেউ কাউকে ছাড়া থাকতে পারবো না।
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে নোয়াখালীতে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। মেয়েটির প্রকৃত অভিভাবকের খুঁজে পেলে তাদের হাতে মেয়েটিকে ফিরিয়ে দেবো। আর তার পরিবার খুঁজে না পেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।
বাসাইল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সঙ্গেও কথা হয়েছে। নোয়াখালীর ওই মেয়েটির পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। মেয়েটির পরিবার এলে তাকে ফিরিয়ে দিতে বলেছি।
Leave a Reply