স্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটি ইউনিয়নের ভালুকাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার প্রশ্নের প্রলোভন দেখিয়ে গোপনে দেখা করার কথা বলে প্রায়ই ছাত্রীদের কু- প্রস্তাব দেন উক্ত স্কুলের সহকারি শিক্ষক তফাজ্জল হোসেন।
সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়ে ভালুকাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে।
গত ২২/0৩/২২ ইং রোজ মঙ্গলবার ভালুকাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ মিছিল করে ।
মিছিলের স্লোগান ছিল, “তোজ্জলের চামড়া, তুলে নেব আমরা” সেই সাথে এই অসাধু শিক্ষকের বহিস্কার চেয়েছে শিক্ষার্থরা।
জানা যায় অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বিলকিস(ছদ্মনাম)(১৪) ও একই ক্লাসের শিক্ষার্থী (আকাশী)ছদ্মনাম (১৫)কে গোপনে ডেকে নিয়ে পরীক্ষার প্রশ্ন দেয় তফাজ্জজল হোসেন মাস্টার এবং বলে যে, এই ব্যাপারে কাউকে কিছু না বলতে আর গোপনে দেখা করতে।
শিক্ষার্থী দুইজন প্রথমে কিছু বুঝতে না পেরে স্যারের কথামতো আবার প্রশ্ন আনতে যায় এবং পরে প্রশ্নের বিনিময়ে তাদের শরীর চায় অসাধু শিক্ষক তফাজ্জল হোসেন। তফাজ্জল হোসেন তাদের বলে,”আমি তোদেরকে প্রশ্ন দিমু বিনিময়ে তোরা আমাকে কি দিবি ? আমি তোদের শরীর চাই, আমাকে দুইটা চু*মা দে”
এমন আরো অশ্লীল কথাবার্তা বলেছে বলে জবানবন্দি দেয় দুই শিক্ষার্থী ।
তফাজ্জল হোসেনের এমন কুরুচিপূর্ন আচরন ও কথার সঙ্গে সঙ্গেই তারা তাদের পরিবার কে জানালে পরিবার লোকজন ক্ষেপে যায় এবং বিষয়টি এলাকার সকলের মাঝে ছড়ে যায়।
তারপর বিষয়টি ভালুকাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পরলে স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝেও বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ছাত্ররা সাথে সাথে স্কুলের অফিসকক্ষ ঘেরাও করে ও প্রতিবাদ মিছিল করে।
উক্ত স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা যায় তফাজ্জল হোসেন অনেক বছর ধরেই ভালুকাপুর স্কুলকে তার জিম্মি করে রেখেছে এবং এভাবে ছাত্রীদের লোভ দেখিয়ে ও নানান অসৎ পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে রীতিমতো শিক্ষার্থীদের অতিষ্ট করে আসছে। স্থানীয়রাও বিয়টি তাদের নজরে নিয়েছে এবং সকলেই তার উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকঠ।
Leave a Reply