ময়মনসিংহ ময়মনসিংহঃ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানীর আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হাসানসহ ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিস্কার করা হয়েছে। শনিবার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর দিনভর আলোচনা শেষে বিকালে এমন সিদ্ধান্ত হয় একাডেমিক কাউন্সিলে। পরে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত ভাবে জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা.চিত্তরঞ্জন দেবনাথ বলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারী সার্জারী বিষয়ের মৌখিক ও ব্যবহারিক চলাকালীন সময়ে সার্জারী বিভাগের অধ্যাপক ডা.আবুল কালাম আজাদ উদ্দেশ্যেপ্রনোদিত ভাবে ডিএসবির একজন সদস্যের সামনে পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় তিনি সরকারী বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকেন। নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী সরকারী দলীয় ছাত্রদের ফেল করান। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ৫৩ ব্যাচের ছাত্র এবং কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হাসান আমার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যা তদন্ত কমিটি সত্যতা না পাওয়া তাকে তিন বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিস্কার করা হয়। এসময় সে ছাত্রাবাসেও থাকতে পারবে না।
অপরদিকে গত (২৩ ফেব্রুয়ারী) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গেটের সামনে ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ এনে সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভের সত্যতা না পাওয়ায় এবং ডা.কালামের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ায় শিক্ষার্থী ফায়াদুর রহমান আকাশ, তামান্না তাসকিনকে দুই বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিস্কার করা হয়। এসময় তারা ছাত্রাবাসেও থাকতে পারবে না।
মানববন্ধনে স্বেচ্ছায় অংশ গ্রহণের জন্য সুনীতি কুমার দাশ, সানবীম খান, মহিদুল হক, তানভীন হাসান, কাশফী তাবরীজ, বাপ্পু কর্মকার এবং সাখাওয়াত হোসেন সিফাতকে এক বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিস্কার করা হয়। এসময় তারা ছাত্রাবাসেও থাকতে পারবে না।
এছাড়াও অনিচ্ছাকৃত ভাবে মিছিলে অংশ গ্রহণ করায় আটজনকে মুচলেকা দিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগ এনে তাঁর অপসারন দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ গত ২৪ ফেব্রুয়ারী গাইনী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তাইয়্যুবা তানজিনকে প্রধান তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
শনিবার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা।
Leave a Reply