বিদেশের মাটিতে জাতীয় সঙ্গীত শুনলে আমাদের চোখে পানি আসে, দেশের ক্রিকেট দলটা বিশ্বকাপে গিয়ে স্বাগতিক দেশকে হারিয়ে দিলে আমরা কেঁদে ফেলি, কমনওয়েলথ গেমসে পুরস্কার বিতরণীতে বাংলাদেশের নাম শুনলে খেলোয়াড়সহ সবাই চোখ মুছি; অথচ উপরের প্রতিটি ঘটনা আমাদের জন্য অধিক আনন্দের, গর্বের।
তাহলে কি আমরা অধিক আনন্দে কেঁদে ফেলি? উত্তর হলো ‘হ্যাঁ’। অতিরিক্ত আনন্দের প্রকাশে অধিকাংশ মানুষই কেঁদে ফেলে অথচ তাদের অন্তরে থাকে নিখাদ এক আনন্দের দোলা। কিন্তু কেন? কেন আমরা অধিক আনন্দে কাঁদি?
এই প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত উত্তরটি হলো, কান্না জীবনের সুখের মুহূর্তগুলোকে তীব্র করে তোলে। আমাদের অশ্রুগুলো লিউকিন এনকেফালিন (leucine enkephalin) হিসেবে পরিচিত নিউরোট্রান্সমিটারগুলো (neurotransmitterr) প্রকাশ করে যা প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে থাকে।
কেউ যখন কষ্ট বা আঘাত পেয়ে কান্না করে তখন এই কান্নার ফলে তারা তাদের অন্তরের যাতনা কিছুটা হলেও লাঘব করে এবং এটির মাধ্যমে তারা ভালো অনুভব করে।
কিন্তু লোকেরা যখন অধিক আনন্দ পেয়ে কাঁদে, তখন নিউরোট্রান্সমিটার তাদের আরও বেশি আনন্দিত করে তোলে। ফলে তারা সুখের সর্বোচ্চ অনুভূতিতে পৌঁছায় কিছুক্ষণের জন্য হলেও।
Leave a Reply