সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নতুন মেয়র হয়েছেন আওয়ামী লীগের এ. এইচ. এম. খাইরুজ্জামান লিটন।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত বেসরকারি ফল অনুযায়ী, তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট।
তার নিকটতম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুরশিদ আলম পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট।
এছাড়া জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ার পেয়েছেন ১১ হাজার ৭১৩ ভোট এবং জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম ১০ হাজার ২৭২ ভোট পেয়েছেন।
এই সিটি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন মোট ভোটারের শতকরা ৫৬.২০ ভাগ।
সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯১ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম (বাবুল) পেয়েছেন ৫০ হাজার ৮৬২ ভোট।
প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণার পর মি. ইসলাম নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন।
সিলেটে প্রাথমিকভাবে জয়ের খবর পাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলন করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, পর্যটন নগরীকে মায়ের কোলের মতো নিরাপদ করতে কাজ করবেন তিনি। ভবিষ্যতে সিলেটের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি খুব একটা হয়নি বলে জানা যাচ্ছে। প্রধান নির্বাচন কমিশন অবশ্য এরই মধ্যে বলেছে সিলেটে ৪৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।
নতুন ভোটারদের আগ্রহ কিছুটা বেশি দেখা গিয়েছে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন সিলেটের স্থানীয় সাংবাদিক আহমেদ নুর।
বুধবার সকাল আটটা থেকে রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। রাজশাহী এবং সিলেট থেকে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি অনেক কম দেখা গেছে।
কিছু কিছু কেন্দ্রে ইভিএম জটিলতার কারণে দীর্ঘসময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে ভোটারদের।
এই দুই সিটি কর্পোরেশনে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশ নিলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মধ্যে।
শুরু থেকে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। আর গত ১২ই জুন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থীর উপর হামলার পর সিলেট ও রাজশাহীর নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে এই দলটিও।
ফলে সিলেট ও রাজশাহী-দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে না বলে ধারণা করা হয়েছিল।
তবে দুই সিটি কর্পোরেশনেই বিএনপির একাধিক নেতা কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন। এর আগে গাজীপুর ও বরিশাল এরকম প্রাথীদের দল থেকে বিএনপি বহিষ্কার করেছে। কিন্তু এই দুই সিটিতে নির্বাচনী তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে দলটির নেতারা।
Leave a Reply