করোনা কালীন সময়ে সম্প্রতি বাংলাদেশের সকল প্রতিষ্ঠান ,অফিস আদালত ঠিক মতই চলছে কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোই বন্দ। তবে কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো তথা শিক্ষার মানের মেরূদন্ড ভেঙ্গে দেওয়ার অপকৌশল চলছে? শিক্ষা মণ্ত্রণালয় থেকে অটোপাশের সিদ্ধান্ত !অটোপাশের সিদ্ধান্ত কতটুকু ফলপ্রসু হবে?বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের শিক্ষার মান যথেষ্ট পিছিয়ে রয়েছে বলে মত দিয়েছেন বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে উপস্থিত দর্শক ও প্যানেলিস্টরা।শিক্ষা নিয়ে তামাশা করার বেশ কারণও আছে,শিক্ষকদের ক্ষেত্রে জবাবদিহিতারও সংকট রয়েছে , ক্লাসরুমের বাইরে কনসালটেন্সির দিকে শিক্ষকদের বেশি মনোযোগ,শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনি করার প্রবণতার দিকটাও তুলে ধরতে হবে। শিক্ষকদের মানে কোন সমস্যা নেই বরং শিক্ষা একটা ব্যবসায় পরিণত হয়ে গিয়েছে যেখানে অর্থ দিলে ভালো শিক্ষা পাওয়া যায়।সরকার তরুণদের প্রয়োজন বা চাহিদাকে বিবেচনায় নিয়েই নানা ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং রাজনৈতিক পরিকল্পনা বা সিদ্ধান্তগুলোতে তার প্রতিফলন ঘটছে। সাম্প্রতিক সময়ে ভ্যাট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, এটি কি প্রমাণ করেনা যে সরকার তরুণদের অন্তর্ভুক্ত করেই রাজনীতি করছে?”,“কিছু কর্মসূচি আছে যেগুলো তরুণদের এগিয়ে দিচ্ছে আবার একি সময়ে মিছিল সমাবেশের মতো রাজনীতিতে তরুণদের ব্যবহারের প্রক্রিয়া আছে”। চাইলে সবকিছুই সরকারের দায়িত্ব হিসেবে চাপিয়ে দেয়া যায় কিন্তু সবকিছুই সরকারের পক্ষে করে দেয়া সম্ভব না ।
শিক্ষার প্রকৃত মান উন্নয়নে এক মাত্র সাধারণ শিক্ষকরাই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারবে।
Leave a Reply