ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর নির্মিত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু থেকে টোল আদায় শেষ হয়নি ৩০ বছরেও। এতে ক্ষোভ জানিয়েছেন নাগরিক নেতাসহ চলাচলকারীরা। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টোল আদায় অচিরেই বন্ধ নয়, বাড়বে টোলের হারও।
ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালে ময়মনসিংহের পাটগুদাম এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর প্রায় ৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। ৪৫৫ মিটার দৈর্ঘ্য এ সেতু স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে ‘শম্ভুগঞ্জ ব্রিজ’ হিসেবে পরিচিত।
উদ্বোধনের পর থেকে এই সেতু থেকেই নির্মাণ ব্যয়ের কয়েক গুণ রাজস্ব আদায় হয়েছে। যা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়েছে।
এ সেতু দিয়ে বাস, পণ্যবাহী ছোট-বড় ট্রাকসহ প্রতিদিন প্রায় ৬-৭ হাজার যানবাহন চলাচল করে। বর্তমানে প্রতিটি যানবাহন থেকে আকারভেদে ১৫ থেকে ২৫০ টাকা করে টোল আদায় করা হচ্ছে। হেভি ট্রাক ১৩৫ টাকা, মিডিয়াম ট্রাক ১০০, মিনি ট্রাক ৭৫, বড় বাস ৬৫, মিনিবাস ৩৫, মাইক্রোবাস ৪০, প্রাইভেট কার ২০, পাওয়ার টিলার ৬০ টাকা এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে ১৫ টাকা টোল আদায় করা হচ্ছে।
সেতুটি প্রতিষ্ঠার ৩০ বছরে ইজারা বাবদ খরচের কয়েক গুণ টাকা আয় হলেও এখনো টোলের ভার বইতে হচ্ছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের। এমনকি বছর বছর যানবাহনভেদে বাড়ছে টোল। তা ছাড়া, একই সিন্ডিকেট বারবার ভিন্ন নামে ইজারা নিয়ে টোল আদায় করছে। টোল আদায় বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সব পরিবহন মালিক ও শ্রমিকেরা।
ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতির মহাসচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবছরেই বৃদ্ধি করা হচ্ছে টোলের পরিমাণ। পরিবহনসহ সাধারণ মানুষকে সেতু পারাপার সরকার দ্রুত মুক্ত করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে কত দিন টোল চলবে। তবে টোলের রেট আরও বাড়বে এবং খুব শিগগিরই ইলেকট্রনিক টোল আদায় পদ্ধতি চালু হবে।
Leave a Reply