ঘরের বেড়া ঘেঁষেই পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি। ঝড়ো বাতাসে সেই খুঁটি নড়বড় করে, কারণ এই কুটিটির ধারন ক্ষমতার বাইরে ট্রান্সমিটার বসানো হয়েছে। শর্টসার্কিটের কারণে আগুন লেগে কুটির উপরিভাগ অনেকটাই ক্ষতি গ্রস্ত । টিনের চালের ফাঁকে দাঁড়িয়ে থাকা এমন এক বিদ্যুৎ খুঁটি নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছে কয়কটি পরিবার। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ওই পরিবারের সদস্যরা। কুটির বর্তমান লোকেশন হল,শাহগঞ্জ বাজার হইতে (মেইন রোডের সাথে) ৩কিমি দক্ষিণে।কুটির নং-
স্থানীয়রা ওই বিদ্যুৎ খুঁটির নাম দিয়েছেন ‘মানুষখেকো বিদ্যুৎ খুঁটি।’ এটি যেকোনো মুহূর্তে প্রাণহানির ঘটনা ঘটাতে পারে আশঙ্কা করে বাসিন্দারা অবিলম্বে খুঁটিটি অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনেক বছর আগে উপজেলার সহনাটি ইউনিয়নের সোনাকান্দি গ্রামের মৃত ছামাদ খানের বাড়ির লোকজনকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ একটি খুঁটি স্থাপন করে। এর দুয়েক বছরের মধ্যে খুঁটিটি সরাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু তখন পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ওই খুঁটি সরানোর জন্য অর্থ দাবি করায় তিনি তা দিতে ব্যর্থ হন।
এতে বিদ্যুৎ খুঁটিটি আর সরানো হয়নি। উপায় না দেখে বিদ্যুৎ খুঁটিটি ঘরের বেড়া ঘেষে ঘর নির্মাণ করতে বাধ্য হন মৃত ছামাদ খানের ছেলে সহ মনজুরুল হক নামের এক ভোক্তভোগী ।
তিনি বলেন, ‘ঘরের পেছনে অবশিষ্ট কোনো জায়গা না থাকায় বিদ্যুৎ খুঁটিটি বেড়া ঘেষেই কোনো রকমে ঘরটি নির্মাণ করেছি। ঘর করার সময় খুঁটিটি সরাতে মৌখিকভাবে আবেদন করেছিলাম। এবং পল্লিবিদ্যুতের কর্মকর্তারা এসে দেখে যান,এবং কুটি সরানোর আশ্বাস সহ টাকা ঘুষ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে যান। কিন্তু পল্লী বিদ্যুতের লোকজন সেটি সরাননি।’
বর্তমানে খুঁটিটি বাসিন্দাদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে ভুক্তভোগীরা বলেন, ‘এখন যে হারে বজ্রপাত হচ্ছে, তাতে বজ্রপাতে এ খুঁটিতে আগুন ধরার আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া খুঁটিটি ঝড়-বৃষ্টিতে ভেঙেও পড়তে পারে। এতে আমাদের জীবন হুমকির মুখে রয়েছে।’
উল্লেখ্য যে, প্রতিহিংসার জেরে ততকালীন কর্তব্যরত লোকজনের মাধ্যমে যে জায়গায় কুটিটি স্থাপন করার কথা,সে জায়গায় স্থাপন করে নি।অন্যান্য কুটির দূরত্বের সাথে এই কুটির দূরত্ব অনেকটাই মিল নেই। আরো জানাযায়, টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে অনেক দূরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন নড়বড়ে এই কুটি থেকে।যা খুবই ঝুকি পূর্ন।
Leave a Reply