ভালুকা(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ভালুকা এক প্রবাসীর স্ত্রীর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে ৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, প্রতিবেশী মফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। পরে প্রবাসীর স্ত্রীর ওই টাকা ফেরত চাইতে গেলে জোরপূর্বক প্রবাসীর স্ত্রীর মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা চালায়।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের প্রবাসী আবুল হোসেনের স্ত্রী কোহিনুর আক্তার (৩৪)কে একই এলাকার শামসুল হকের ছেলে মফিজ উদদীন তার বাড়ীতে আসা-যাওয়ার সুবাদে বিভিন্ন সময়ে গোসল করার সময় গোপনে বাথরুমের নগ্ন ছবি মোবাইলে দারুন করে ব্ল্যাকমেইল করা শুরু করে। নগ্ন ছবি দেখিয়ে চার লক্ষ টাকা হাওলাদ হিসাবে ঋণ নেয়। এর পরেও আবার ১ লক্ষ টাকা দাবি করে। আমি ওই টাকা ফেরত চাইলে গত ০৪ /১০/২০২২ইং তারিখে তার বাড়ীতে যাতে বলে। ঐ দিন বিকালে বাড়িতে গেলে মফিজ উদদীন, তার স্ত্রী রহিমা আক্তার ও ছেলে রাফিজুল ইসলামসহ তিনজনে ধরে মাটিতে ফেলে দিয়ে জোরপূর্বক মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে সখিপুর উপজেলা হাসপাতলে,পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় প্রতিবেশী মফিজ উদ্দিন,রহিমা আক্তার, ও ছেলে রাফিজুল ইসলামসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে মডেল থানায় একটি লেখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সরজমিন গত (৯ অক্টোবর) গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বললে অনেকটাই সত্যতা পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইন্নাস আলী মাতাব্বরসহ একাধিক লোকজন স্বীকার করে বলে ঘটনার সততা রয়েছে। এমনকি এর পূর্বেও মফিজ উদ্দিন তিন-চারটি সংসার তছনছ করেই ক্ষান্ত হয়নি। একই এলাকার কামাল হোসেনের স্ত্রীর এ ধরনের এক ঘটনায় আত্মহত্যা করতে বাধ্য করে মফিজ উদ্দিন। এমনকি কামাল হোসেন নিজেও স্বীকারোক্তি দেয়। স্থানীয় লোকজন দাবি করে বলে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় নিয়ে কঠোর শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী। বর্তমান কোহিনুর আক্তার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মফিজ উদ্দিন সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।
হোসেনপুন ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার রেজাক অস্বীকার করে বলেন, আগে-পরে কোনো ধরনের ঘটনায় আমার জানা নেই।
মডেল থানার ওসি তদন্ত জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তাধীন রয়েছে।
Leave a Reply